আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
পুলিশের নেতৃত্ব সবসমই চ্যালেঞ্জিং। মাদক ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন। সাধারন মানুষের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। আর এজন্যই মাদক ও ছিনতাই রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ। ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকা এবং জেলার ত্রিশাল,ফুলবাড়িয়া, গফরগাঁও হালুয়াঘাট, ধোবাউরা ফুলপুর ঈশ্বরগঞ্জ মুক্তাগাছা সহ সবকটি থানা এলাকায় পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। টহল জোরদার করার পাশাপাশি ছিনতাইকারীদের খুঁজছে পুলিশ। বিশেষ করে ছিনতাইকারীদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস)। এবার ময়মনসিংহের মাটিতে ছিনতাইকারীদের ঠাঁই নেই। ছিনতাইকারীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শিবিরুল ইসলাম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম জানান, মাদক ও ছিনতাই ঠেকাতে জেলা পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস আব্দুল্লাহ আল মামুন স্যারের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ কঠোর থেকে আরো কঠোর। অপরাধী যেই হোক, যতই ক্ষমতাধর হোক, কারো রেহাই নেই। ছিনতাইকারীদের ধরতে কঠোর নির্দেশ রয়েছে। চিহ্নিত ছিনতাইকারীদের তালিকা তৈরী করে অভিযান চলছে এবং চলবে।
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসাবে শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন এর নেতৃত্বে ময়মনসিংহ শহরের কৃষ্টপুর এলাকায় কলোনীতে মাদক ব্যবসায়ী,চোর, ছিনতাইকারী ধরতে কোতোয়ালি মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের একটি যৌথ টিম অভিযান পরিচালনা করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম)মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন- আমাদের এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকবে।মাদক কারবারি, চোর,ছিনতাইকারী ধরতে আমাদের অভিযান নিয়মিত চলবে। কোন অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না । এলাকাবাসী এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছে৷ এমন অভিযান আরো বেশি বেশি প্রয়োজন বলেও মনে করেন তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, কৃষ্টপুর কলোনি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মা-দ-ক কেনা-বেচা, চুরি এবং ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
অপরাধীদের অবাধ বিচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল এলাকাবাসী। এই অবস্থায় পুলিশের আকস্মিক অভিযানে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তারা।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম জানান, “অপরাধমুক্ত সমাজ গড়তে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। মা-দ-ক, চুরি এবং ছিনতাইকারী—সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে নিয়মিত অভিযান চলবে।”
পুলিশের এই কঠোর পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা মনে করেন, এমন অভিযান আরও ঘন ঘন হওয়া উচিত। একই সাথে তারা পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছেন, যেন কোনো নিরপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়।
এই অভিযান শুধুমাত্র অপরাধ দমনেই নয়, বরং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির একটি সুস্পষ্ট বার্তা বহন করছে।
এলাকাবাসীর সমর্থন এবং পুলিশের দৃঢ় পদক্ষেপ—এই দুইয়ের সমন্বয়ে ভবিষ্যতে আরও নিরাপদ একটি ময়মনসিংহ আশা পোষণ করেন বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা।
এদিকে, ময়মনসিংহকে নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তুলতে ছিনতাইকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে । বাড়ী-বাড়ী ও মহল্লায় মহল্লায় গিয়ে ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। নিরাপদ ময়মনসিংহ গড়তে ছিনতাইকারীদের সম্পেের্ক তথ্য ইনবক্সে দেওয়ার আহবান জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন। সেক্ষেত্রে তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন করা হবে বলেও জানান তিনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস)আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নগরীর বিভিন্ন অলি গলিতে মহরা চালানোর পর থেকে জনগণের কাছ থেকে আমরা বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। তারা ইনবক্সে প্রচুর তথ্য দিচ্ছেন। তথ্য পাওয়ার পরপরই আমরা টিম পাঠিয়ে সেখানে অভিযান চালাচ্ছি। এ কাজটি এতটাই গোপনীয়তার সঙ্গে করা হচ্ছে যে, তথ্যদাতার নাম আমি ছাড়া অন্য আর কেউ জানতে পারছে না। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধেও সোচ্চার থাকব আমরা। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই এ শহরকে নিরাপদ রাখতে চান বলেও জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
Leave a Reply