বিয়ের দা-বিতে দুই সন্তানের জননীর অন-শন,প্রেমিক উ-ধাও

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর দুর্গাপুরে এক এনজিও কর্মীর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে দুই সন্তানের জননীর অনশন, প্রেমিক ফারুক বাড়ি ছাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে অফিস যাবার পথে ফারুকের মোটর সাইকেলের তেল শেষ হলে, রাস্তায় হেটে যাওয়ার পথে পরিচয় হয় মনিকা (ছদ্দনাম) নামের এক স্থানীয় গৃহিণীর। সেখান থেকেই পরিচয় এবং মোবাইল নাম্বার আদান-প্রদান ও কথা হয় মোবাইলে। এক পর্যায়ে একে অপরের প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েন। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া এবং শারীরিক মেলামেশাও হয় তাদের মধ্যে।
ভিকটিমের অভিযোগ, গত শনিবার ১৬ আগস্ট সেই এনজিও কর্মী ফারুক হোসেন বিয়ের কথা বলে নিজ বাড়িতে ডাকেন প্রেমিকাকে। কিন্ত্ত পরিবারের অসম্মতি ও তার দুলা ভাই আশা এনজিওর কর্মী জাহাঙ্গীরের প্ররোচণায় বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ফারুক। এমনকি তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করেন দুলা ভাই জাহাঙ্গীর। মুলত জাহাঙ্গীরের মাধ্যমেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং জাহাঙ্গীরের বাড়িতে ফারুক ও ওই নারী একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ান।কিন্ত্ত জাহাঙ্গীরের সহযোগীতায় প্রেমিক ফারুক পালিয়ে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েন ভিকটিম ওই নারী। গত পাঁচদিন যাবৎ বিয়ের দাবিতে ফারুকের বাড়িতেই অবস্থান করছেন ওই নারী।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, রাজশাহী’র দুর্গাপুর উপজেলা’র সূর্য্যভাগ গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক ওমর আলীর পুত্র ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সম্পাদক এই ফারুক হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে
একই গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যর।
ভুক্তভোগী বলেন, এর আগে আমার বিয়ে হয়েছিল।কিন্ত্ত ফারুকের সঙ্গে প্রেম ও তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় তিনি তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন।তিনি আরো বলেন, তিনি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরি করতেন, ফারুকের সঙ্গে প্রেম হওয়ার পরে জানতে পারেন সেও এর আগে বিয়ে করেছিল, ডিভোর্স হয়ে গেছে, তাই আমরা দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।কিন্ত্ত গত শনিবার সকালে সে বিয়ের কথা বলে আমাকে তাঁর বাড়িতে ডেকে আনে ,তবে পরিবারের চাপ ও তার দুলা ভাইয়ের প্ররোচণায় সে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে, এতে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও সমাজের সকলের কাছে সাহায্য চেয়ে বলেন আজ পাঁচ দিন হয়ে যাচ্ছে আর কতদিন আমাকে এভাবে কাটাতে হবে, তাই দ্রুত তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হোক।
স্থানীয় প্রতিবেশীরা বলেন,ফারুকের দুলা ভাই আশা এনজিওর কর্মী জাহাঙ্গীরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই ফারুকের সন্ধান পাওয়া যাবে,সে আসল নাটের গুরু।কারণ সে ফারুককে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করে,উল্টো ভিকটিম পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান কাজী জানান, ফারুক একাধিক মেয়েদের সঙ্গে এরকম সম্পর্কে লিপ্ত, সে একটা দুশ্চরিত্রবান পুরুষ। এ অসহায় মেয়েটি আজ পাঁচ দিন হল এই ফারুকের বাড়িতে অবস্থান করছে, আমরা চাই দ্রুত সমাধান হোক। তিনি বলেন,ফারুকের সকল অপকর্মের সহযোগী তার দুলা ভাই জাহাঙ্গীর।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।এবিষয়ে জানতে চাইলে ফারুকের দুলা ভাই আশা এনজিও কর্মী জাহাঙ্গীর বলেন, ঘটনা সত্যি নয়, এর সঙ্গে একটি নারী সিন্ডিকেট জড়িত,তারা টাকা-পয়সা নেয়ার জন্য ওই মেয়েকে দিয়ে এসব নাটক করছে।#

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *