August 18, 2025, 5:16 pm
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
ব্যাপক ঝাকজমক ও উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-এর ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি উদযাপিত হয়েছে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সোমবার (১৮ আগস্ট) “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস-২০২৫ উদযাপন কমিটি”র আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে দিনের শুরুতেই সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস ও আবাসিক হলসমূহে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯.৩০টায় প্রশাসন ভবন সংলগ্ন হ্যালীপ্যাডে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, কবুতর অবমুক্তকরণ ও বেলুনের সঙ্গে প্লেকার্ড উড়িয়ে আনন্দ র্যালীর উদ্বোধন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। র্যালীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী এবং এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন এবং উক্ত র্যালী বাকৃবির বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় হ্যালীপ্যাডে এসে শেষ হয় এবং সেখানে গাছের চারা রোপণ করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। পরবর্তীতে তিনি ঈশা খাঁ হল সংলগ্ন লেকের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ঘাটে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মৎস খামারের আয়োজনে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। এছাড়া সকাল ১০.৩০টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে “গৌরবের ৬৪ বছরঃ অর্জন ও সম্ভাবনা” শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় এতে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দিবস-২০২৫ উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: জি.এম. মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মো: আব্দুল আলীমের সঞ্চালনায় উক্ত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির তিনজন সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর(অব:) ড. মঈনুদ্দীন আহমদ, প্রফেসর ড. মো: বাহানুর রহমান, ডিন ভেটেরিনারি অনুষদ এবং মো: রাকিব উদ্দিন, বাকৃবি ট্রেজারার (অব:)।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মো: সামছুল আলম, সহকারী প্রফেসর ড. মো: শরীফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো: মাহমুদুল হাসান শিকদার, ট্রেজারার প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির, মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.মো: রফিকুল ইসলাম সরদার, বাকৃবি ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো: শহীদুল হক। প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ও তৎকালীন সরকারের কমিশনের রিপোর্টে ১৯৬১ সনের ১৮ আগস্ট যে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় তা আজকে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ৬৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসে উপনিত হয়েছে এবং এই সুদীর্ঘ যাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আজকে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় দেশ-বিদেশে প্রশংসিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের এই অবস্থানের পেছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন যে, মাতৃসম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম যেন খর্ব না হয় বরং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায় সেজন্যে আমাদের সকলকেই পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা ও ধৈর্যের মাধ্যমে কাংখিত লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণের উপর অধিকতর মনোনিবেশের এবং আলোচকদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনার বিপরীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। সবশেষে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর উদযাপন কমিটির সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এছাড়াও দিবসটি পালন উপলক্ষে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মসজিদ ও উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা এবং আবাসিক হলসমূহে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হয়।