August 15, 2025, 6:58 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
কুমিল্লায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা ছা-ড়া গ্রাম বাংলা থেকে হারি-য়ে যাচ্ছে হাডুডু, ফুটবল শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দুদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারেক রহমান স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপির নবগঠিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আ-লোচনায় মাহমুদ হোসেন র‌্যাব-১২ এর অভি-যানে ২৯৮০ পিচ ইয়া-বা ট্যাবলেটসহ ২ জন মা-দক ব্যবসায়ী গ্রে-ফতার ঋ-ণ ও খাওয়ার অ-ভাবে পরিবারকে হ-ত্যা করে আত্মহ-ত্যা করল কর্তা বাবুগঞ্জে দোয়ারিকা সেতুর নিচে বিটুমিন মিক্সচার প্লান চু-রি, ২ চো-র আ-টক বেগম খালেদা জিয়া রাজ-নীতির আ-লোকবর্তিকা, আ-স্তার প্রতীক বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মবার্ষিকীতে চাঁদপাই ইউনিয়ন বিএনপির আ-লোচনা ও দো-য়া শার্শার ব-ন্যা উপদ্রু-ত এলাকা পরি-দর্শনে মাওলানা আজিজুর রহমান শেখ হাসিনা জনগণের বন্ধু হতে পা-রেনি – গণশ-ত্রু জনশ-ত্রুতে পরিণত হয়েছে :এ্যানি
ঋ-ণ ও খাওয়ার অ-ভাবে পরিবারকে হ-ত্যা করে আত্মহ-ত্যা করল কর্তা

ঋ-ণ ও খাওয়ার অ-ভাবে পরিবারকে হ-ত্যা করে আত্মহ-ত্যা করল কর্তা

রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর পবা উপজেলায় ঋণের চাপে এবং অভাবের তাড়নায় দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন মিনারুল ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে লিখেছেন, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম।’

আজ শুক্রবার ১৫ আগষ্ট সকাল ৯ টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বামনশেখর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন মিনারুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সাধিনা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩) ও মেয়ে মিথিলা (দেড় বছর)। মাহিম খড়খড়ি উচ্চ বিদয়ালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

জানা গেছে, মনিরুল ইসলাম কৃষি কাজ করতেন। তার ঋণ রয়েছে ছিল জানা গেছে। তারা মাটির ঘরে বসবাস করতেন।
রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম কৃষি কাজ করতেন। তার ঋণ রয়েছে ছিল জানা গেছে। তারা মাটির ঘরে বসবাস করতেন।

পুলিশ জানায়, পরিবারের চারজন সদস্যই মারা গেছেন। এর মধ্যে এক ঘরে মা ও মেয়ে এবং অন্য ঘরে ছেলে ও বাবা মিনারুল ফ্যানের সাথে ঝুলছিলেন। এ সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের কারণ উল্লেখ করে ওই চিরকুটে মিনারুল আরো লেখেন, ‘এই কারণে যে আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলেমেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভালো।’

“আমরা চারজন পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছি, আর দেখা হবে না খোদা হাফেজ। আমি মিনারুল নিচের যেসব লেখা নিজ হাতে লেখব। সব আমার নিজের কথা। আমরা চারজন মারা যাব। এই মরার জন্য কারো কোনো দোষ নেই…।
আমি প্রথমে আমার বউকে মেরেছি। পরে মাহিনকে এবং তারপর মিথিলাকে মেরেছি। তারপর আমি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মরেছি। চারজনের মরা মুখ যেন বাপের বড় ছেলের বউ বাচ্চা না দেখে…এবং জানাজায় না যায়। আমাদের চারজনকে ঢাকতে আমার বাবাটা যেন টাকা না দেয়…। ’
‘কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’

মোঃ হায়দার আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD