August 13, 2025, 12:05 pm
হেলাল শেখঃ গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকান্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ঢাকার আশুলিয়ায় বেসরকারি টেলিভিশন ৭১টিভির আশুলিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম অনিককে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (১২ই আগস্ট ২০২৫ইং) সকালে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী দুজনকে আদালতে পাঠানোর বিষয়ে নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সফিকুল ইসলাম সুমন। এর আগে সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইলে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম অনিককে উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-নওগা জেলার বদলগাছী থানার খাদাইল মিঠাপুর এলাকার মৃত ওয়াহেদের ছেলে মোঃ ইমন (৩২) ও তার ছোট ভাই জাহিদ হাসান (২৬)। তারা আশুলিয়ার বাইপাইল নতুন পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো বলে জানা যায়।
হামলার শিকার ৭১টেলিভিশনের আশুলিয়া প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম অনিক বলেন, গতকাল রাতে একটি অনুসন্ধান শেষ করে একটি চায়ের দোকানে যাচ্ছিলাম। সেখানে আগে থেকে দুজন মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করছিলো। পরে সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে আমার পিছু নেয়। আমি বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এসে পৌছালে তাদের আরও একটি প্রাইভেটকারে চার জনকে দেখা যায়। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায় ও প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে আমার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে সবাই পালিয়ে যায়। সেসময় দুজনকে আটক করে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে তাদেরকে আটক করে।
জাহিদুল ইসলাম অনিক আরও বলেন, আমার অনুসন্ধান ছিলো ফার্মেসি নামের আড়ালে মাদক দ্রব্য সরবরাহ ও বিক্রি নিয়ে। এসব নিয়ে তারা আমাকে টার্গেটে রাখে। তারা জানতো আমি কাজ শেষে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় যাবো। তাদের পরিকল্পনা ছিলো যেকোন ভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে আমাকে অপহরণ করা। সেসময় তাদের পরিকল্পনা বুঝতে পেরে ওই স্থান ত্যাগ করি কিন্ত তারা পিছু নেয় এবং তাদের পূর্ব পরিকল্পনার অনুযায়ী আগে থেকেই দেশীয় অস্ত্র ও প্রাইভেটকার নিয়ে বাইপাইল আমার বাসায় যাওয়ার পথে অবস্থান নেয়। তারা চেষ্টা করেছে গাড়িতে উঠিয়ে নেওয়ার। একজন দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে মারার চেষ্টা করেছে কিন্ত আঘাত লাগেনি আমার। এছাড়া আমাকে মারধর করেছে তারা। সেসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে প্রাইভেটকার নিয়ে ৪জন পালিয়ে যায়। বাকী দুজন মোটরসাইকেল স্ট্যার্ট না হওয়ায় পালিয়ে যেতে পারেনি। পরে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে স্থানীয় একটা ক্লিনিকে ভর্তি করে।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর পর কয়েকটি টীম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজ সকালে গ্রেফতার দুজনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।