কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,
কুমিল্লা ইসলামিয়া আলিয়া কামিল (এমএ) মাদ্রাসায় আগামী ১৬ ই আগষ্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হঠাৎ আজ ১১ ই অগাষ্ট সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক অভিভাবক তার ভোট নিয়ে আবেদন করে যে ভোটার তালিকার মধ্যে নাকি তার নাম নেই, এই আবেদনের পেক্ষিতে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচনী পরিবেশে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা ও ক্ষোভ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, তামিরুল উম্মা, তানজিমুল উম্মা, তাহজিমুল উম্মা ও আল আহজার মাদ্রাসা—এই চার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী যারা কুমিল্লা ইসলামিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় নিবন্ধিত এবং বৈধ নথিপত্রধারী, তাদের অভিভাবকদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এমই উঠে আসে একজন অভিভাবকের অভিযোগ পত্রে।
সে জানায় আমাদের ছেলে এই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে, রেজিস্ট্রেশন ও সব কাগজপত্র ঠিক আছে। কিন্তু ভোটার তালিকায় আমাদের নাম নেই—এটা কেমন নির্বাচন?”
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ৩০ জুলাই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের শেষ দিনে ১৬ জন প্রার্থী ফরম নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় এখন প্রতিটি বিভাগের আসনে দুইজন করে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন।
আজ (১১ আগস্ট) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও অভিযোগ ও অনিয়মের কারণে তা স্থগিতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
কুমিল্লা সদর উপজেলার সমবায় কর্মকর্তা ও নির্বাচন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন,
“আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। সব কিছু সুষ্ঠু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, এই ভোটার তালিকা বিতর্ক দ্রুত সমাধান না হলে মাদ্রাসার প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও অভিভাবক অংশগ্রহণের এই উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক ও ছাত্র নেতাদের ক্ষোভ কেন ভোটার তালিকার মধ্যে বাদ পড়লো? একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে হলে সকল অভিভাবক কে ভোটার তালিকার মধ্যে নিবন্ধন করে পুন তপছিল ঘোষণা করা হোক।
Leave a Reply