যশোরের শার্শার সীমান্তঞ্চলে ব-ন্যা পরিস্থিতি-এখনো ধেয়ে আসছে ইছা-মতী নদীর পানি

আজিজুল ইসলাম, যশোরঃ নিম্নচাপ ও ভারতীয় ইছামতি নদীর জোয়ারের পানি অব্যাহত ভাবে প্রেবশ করায় যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর, বাইকোলা, ভবানীপুর, দাউদখালী ও গোগা বিলপাড়া গ্রামের শতাধিক পরিবার পানি বন্দী জীবন যাপন করছেন। মাট ঘাট ডুবে গেছে। অনেকের ঘর বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। গোখাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জনজীবনে নেমে এসেছে অশান্তি। অনেকের উনুনে পানি ওঠার কারনে রান্না করতেও অসুবিধা হচ্ছে। গোল খাদ্যের অভাবে কচুরিপানা পানা খাওয়ানো হচ্ছে গবাদিপশুদের।

রুদ্রপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, তার বাড়ির চারপাশে মাজা পানি। কলার ভেলায় করে তিনি যাতায়াত করছেন। আবুল হোসেন জানিয়েছেন, তার পাড়ার ২৫/৩০ টি পরিবার গ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা এখন নৌকায় যাতায়াত করছেন। মসজিদে যেতেও নৌকায় আসতে হচ্ছে।
ঐ গ্রামের খোস্তো নামে এক ব্যাক্তি জানিয়েছেন, এমনিতেই বিল ফসলের ওপরে নির্ভরশীল এখানকার মানুষজন। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ স্লুইসগেট নির্মানের ফলে ইছামতী নদীর জোয়ারের পানিতে প্রতিবছর প্লাবিত হয় বিলের জমি। এসমস্যা ৫০ বছর ধরে চলছে। তার ওপর চলকি বছর অতি বৃষ্টির পানি ইছামতী নদীর পানি অব্যাহতভাবে প্রবেশ করায় বিল ছাপিয়ে পানি লোকের ঘর বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। বন্যা পরিস্থিতির আকার ধারণ করেছে। মানুষের কাজ নেই, অনেকের ঘরে খাবার নেই। দুরবস্থার মধ্য দিন কাটছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর।

হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, তার বাড়ীর চারিপাশে পানি। ঘরের ভেতরেও পানি। ইট দিয়ে খাট উচু করে তার ওপর পরিবার নিয়ে বাস করছেন। ঘরে পানি ঢোকার কারণে রান্না করতে পারছে না। এদিকে ঘরে চাল নেই। ত্রানও কেউ দিচ্ছে না।
কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন জানিয়েছেন, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলেছি,শুস্ক মৌসুমে খাল সংস্কারসহ নতুন ভাবে স্লুইসগেট নির্মান ও পানি নিস্কাসনের দাবি জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখার প্রতুশ্রুতি দিয়েছেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *