“ ঝিনাইদেহর আঞ্চলিক ভাষা হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে একটি প্রজন্মের স্মৃতি তার শেকড়”

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ শিশু একাডেমী মিলনায়নে গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দানকালে যবিপ্রবির ভিসি বলেন“আঞ্চলিক ভাষা শুধু কথোপকথনের মাধ্যম নয়, এটি একটি জাতির সংস্কৃতি, ইতিহাস ও আবেগের অংশ। এই ভাষাকে সংরক্ষণ ও ছড়িয়ে দিতে ঝিনেদার আঞ্চলিক ভাষা ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।”। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ কাজল। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিহঙ্গ নাট্য গোষ্ঠির পরিচালক শাহিনুর আলম লিটন।
মানবাধিকার, সাংবাদিকতা, ক্রিড়া, ব্যবসা, ভাষা, শিল্প, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও গণমাধ্যম কর্মীসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঝিনেদার আঞ্চলিক ভাষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমেরিকা প্রবাসি তরিকুল ইসলাম মিঠু, চিত্র নায়ক নীরব হোসেন, খল নায়ক আশরাফুল হক ডন, নিন্দিত চিত্র পরিচালক হাসান জাহাঙ্গীর, কৌতুক অভিনেতা কাজল, ঝিনেদার আঞ্চলিক ভাষা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম লিকু, নিপা জামান, গাউস গোর্কি, মাসুদ রানা, সুরভী রেজা, মোরশেদ আলম, মোহাম্মদ আলী, এনামুল হক ও ফিরোজা জামান আলো প্রমুখ।
প্রধান অতিথি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফের ড. আব্দুল মজিদ আরো বলেন, আঞ্চলিক ভাষা শুধু একটি কথ্য মাধ্যম নয়, এটি একটি জনগোষ্ঠীর ইতিহাস, সংস্কৃতি, অনুভূতি ও আত্মপরিচয়ের প্রতিচ্ছবি। এই ভাষা হারিয়ে গেলে, হারিয়ে যায় একটি প্রজন্মের স্মৃতি, তার শেকড় ও সত্তা। তাই আঞ্চলিক ভাষা রক্ষা করা মানেই আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করা।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক ভাষায় সাহিত্যচর্চা, কবিতা, গান, গল্প, নাটক ইত্যাদি রচনা ও পরিবেশন করে ভাষাটিকে জীবন্ত রখতে হবে। এছাড়া আঞ্চলিক শব্দভাণ্ডার, প্রবাদ, গল্প, ইতিহাস ইত্যাদি ডিজিটাল আকারে সংরক্ষণ করে ওয়েবসাইট বা অ্যাপে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় আসিফ কাজল বলেন, “আমরা যদি এখনই সচেতন না হই, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের এই মুল্যবান ঐতিহ্য থেকে বঞ্চিত হবে। তাই আসুন, মাটির ভাষা, প্রাণের ভাষা রক্ষা করি। আমরা আমাদের নিজস্বতা বজায় রেখে বিশ্বকে জানাই আমরা আসলে কে”। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য জেলার বিশিষ্টজনদের ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।

আতিকুর রহমান
ঝিনাইদহ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *