স্কুল ছাত্র শিশুকে পিটিয়ে হত্যা – যুবক কারাগারে

মোঃ কাউছার ঊদ্দীন শরীফ ঈদগাঁও

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় এক শিশুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় একজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা। অভিযুক্তের নাম মোঃ আলম, সে উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব ইছাখালী গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
অপরদিকে নিহত শিশু সাজ্জাদুর রহমান(১৩) পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাতজুলাকাটা এলাকার নুরুল আলমের ছেলে।

জানা যায় , তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে শিশু সাজ্জাদকে তুলে নিয়ে গাছের সাথে বেধে উপর্যপুরী মারধর করে আলমের নেতৃত্বে কয়েকজন দূর্বৃত্ত। পরে মারধর করে ছেড়ে দেয় সাজ্জাদকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে পরিবারের সদস্যরা তাকে ২৫ সেপ্টেম্বর ঈদগাঁওর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় জানাজানি হলে নির্যাতনে প্রধান হোতা আলমকে স্থানীয়রা উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সংবাদ দেয়। ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আবদুল হালিমের নেতৃত্বে এসআই কাজী গোলাম মহিউদ্দিন, এসআই মোঃ মিরাজ হোসেন, মোঃ গিয়াস উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবদুল আলমকে আটক করে এবং লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে লাশ থানায় নিয়ে যায়।

এজাহার সুত্রে জানা যায়, বাদী নুরুল হুদার ছেলে মৃত ভিকটিম সাজ্জাদ (১৩) এবং ধৃত আসামী মোঃ আলম এর ছোট ভাই নুরুল আজিম প্রঃ কালু (১৫) উভয় বন্ধু হয়। বন্ধুত্বের সূত্র ধরিয়া উভয়ে মধ্যে গত ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্থানীয় মোস্তাকের দোকানের ভিতর সামান্য বিষয়ে তর্কাতর্কি হয়। তর্কাতর্কি একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। উক্ত ঘটনার জের ধরিয়া গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাদীর ছেলে ভিকটিম সাজ্জাদ (১৩) স্থানীয় আমির সুলতানের নারী ইশফাত এর গ্রাম্য চা দোকানের সামনে গেলে ধৃত আসামী ভিকটিমকে গাছের সাথে বাধিয়া মারপিট করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা সংবাদ পাইয়া ঘটানস্থলে যাইয়া ভিকটিমকে উদ্ধার করিয়া ঈদগাঁও মেডিকেল সেন্টারে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমকে মৃত ঘোষনা করে ।

এব্যাপারে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল হালিম বলেন, শিশু হত্যার ঘটনায় বাদীর এজাহারের ভিত্তিতে ঈদগাঁও থানার মামলা নং-০৭ তাং-২৬/০৯/২০২২ তারিখ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করিয়া আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *