July 21, 2025, 12:59 am
হেলাল শেখ ঃ ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের (ফকির বাড়ি বটতলা) এলাকার জাকির হোসেনের মেয়ে প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ নিলুফা বেগম বাড়িতে একা থাকার সুযোগে এলাকার মাদক সন্ত্রাসী মোঃ সুজন (৩০) বিভিন্ন সময় তাকে বিরক্ত করে এবং ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আর সেই দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় বাড়ি ঘর ভাংচুর করে সুজনসহ তার লোকজন। অন্যদিকে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের প্রবাসী হযরত আলী’র স্ত্রী ইয়াসমিন এর বাড়ি ঘর ভাংচুর করে লুটপাট করার পর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা আবারও বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়ার অভিযোগ, প্রবাসীর পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আদালতে মামলা ও থানায় জিডি করেও কোনো ফায়দা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এই ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার (১৯ জুরঅই ২০২৫ইং) সকালে জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ সুমন ভুঁইয়া ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামী হয়ে ভারতে পালিয়ে আছেন, তার বাহিনীর সদস্য থেমে নেই মোঃ সুজন (৩০), পিতা মৃতঃ হাবিব স্থানীয় (ফকির বাড়ি বটতলা), জামগড়া, আশুলিয়া ঢাকাগং আরো ৪-৫জন মাদক সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ মাদকের টাকার জন্য বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে। এসবের টাকা না পেয়ে মানুষের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। কেউ এসব ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে তাদেরকে হত্যা করে গুম করার হুমকি প্রদান করে সন্ত্রাসীরা।
এ ব্যাপারে প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী ভুক্তভোগী মোছাঃ নিলুফা বেগম আশুলিয়া থানায় মামলা করার জন্য একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগে নিলুফা বেগম জানান, আমি গৃহিনী, আমার স্বামী প্রবাসী মোঃ বাবুল হোসেন (৪৫) এর আশুলিয়া থানাধীন ইয়ারপুর ইউনিয়ন জামগড়া ফকির বাড়ি বটতলা এলাকায় ক্রয় করা ৫ শতাংশ জমি আছে। উক্ত জমি সম্পত্তির উপর ৮টি রুম আছে, সেখানে আমিসহ আমার পরিবার সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছি। উক্ত বিবাদী মোঃ সুজন এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা সুমন ভুঁইয়ার বাহিনীর সদস্য সুজন প্রতিনিয়ত মাদকদ্রব্য সেবন করে এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। সে কোনো অপরাধ করলেও তার ভয়ে মানুষ কেউ মুখ খুলে না। সুজন আমার অতিরিক্ত বিরক্ত করে এবং ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে, তার দাবিকৃত টাকা দিলে সে আর বিরক্ত করবে না বলে। আমি একজন প্রবাসীর স্ত্রী বাড়িতে একা থাকি এখন নিরাপত্তাহীনতায়। আমি তাকে টাকা না দেয়ায় আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে, আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
অন্যদিকে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর গ্রামের প্রবাসী হজরত আলীর স্ত্রী ইয়াছমিন এর বাড়ি ঘর ভাংচুরের ঘটনার পর জমি দখলের চেষ্টা করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোল্লা নাজিম উদ্দিন (৪১)সহ তাদের লোকজন। প্রবাসীর স্ত্রী মোছাঃ ইয়াসমিন (৪১) ও তার ছোট ছেলে কলেজ পড়–য়া ছাত্র আশরাফুল (১৭) এর বয়স ২০ বছর দিয়ে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়েছে নাজিম মোল্লা। সূত্রঃ সি. আর. মামলা নং ৮৩২/২০২৩ইং। ধারাঃ ১৪৩/৪৪৭/ ১০৯/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬। এলাকাবাসী জানায়, নাজিম মোল্লা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মামলা করেছে প্রবাসী হজরত আলীর বৌ ও ছেলেদের নামে এর আসল কাহিনী হলো মাদক সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের একটি জমি দখল নেয়ার চেষ্টা।
আশুলিয়ার ইয়ারপুর গ্রামের প্রবাসী হজরত আলীর স্ত্রী ইয়াছমিন বেগম বলেন, আগে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে, এখন তারা পলাতক থাকলেও তাদের ভাড়া করা সন্ত্রাসী বিএনপির পরিচয় দিয়ে আবারও বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে, এতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় জীবনযাপন করতাছি, আমি একজন প্রবাসীর স্ত্রী হয়ে কারো কাছে কোনো বিচার না পেয়ে আদালতে মামলা করেছি, এর আগে আওয়ামীলীগ সরকারের সময় আওয়ামীলীগ নেতারা আমার বাড়িঘর ভাংচুর করে লুটপাট করেছে এতে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে তারা, আমি এ বিষয়ে সাংবাদিক, পুলিশ ও এলাকাবাসী সবার সহযোগিতা কামনা করছি, কোথাও বিচার পাইনি। প্রবাসীর স্ত্রী ইয়াছমিন বেগম অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামীলীগ নেতা মুসার ভাই নাজিম আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করে লুটপাট করার সময় আমার সম্মানহানী করেছে এবং উল্টা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেক হয়রানি করছেন, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত দাবী করছি, দোষীদের আটক করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, এখন আবার অন্য দলের লোকজনকে ভাড়া করে আমার বসবাসরত বাড়িসহ জমি দখলের চেষ্টা করছে তারা। আশুলিয়া থানায় আমাকে কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলেন পুলিশ অফিসার কিন্তু আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, আদালত যে রায় দিবেন আমি তা মেনে নিবো।
উক্ত বিষয়ে এসবি পুলিশ অফিসার, আশুলিয়া থানা পুলিশ ও র্যাব জানায়, আদালতে মামলা চলমান রয়েছে সেখানে আমাদের আদালতের আদেশ মেনে কাজ করতে হবে, প্রবাসীর স্ত্রী তাই মানবিক দিক চিন্তা করে বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট দেয়া হবে বলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানান। আশুলিয়া থানার (এসআই) আকরাম বলেন, নিলুফা বেগমের অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।##