নেছারাবাদে পনের বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত সহকারি শিক্ষক এস এস সি পরীক্ষায় পাশ মাত্র দুইজন

আনোয়ার হোসেন
নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সেহাংগল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় চরম ফল বিপর্যয় হয়েছে। ১২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে মাত্র দুজন।বিদ্যালয়টিতে নয়জন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও ১৫বছর দরে অনুপস্থিত রয়েছে শাহানা বেগম, কিন্তু সরকার থেকে বেতন ঠিক মতো তুলে নিচ্ছেন মাসে একবার এসে হাজিরা দিয়ে যায় তিনি। এবছর বার শিক্ষার্থীর মধ্য মাত্র দুইজন শিক্ষার্থী পাশ করায় ক্ষুদ্ধ ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শুভাকাঙ্খিরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবহেলার কারনে শিক্ষার্থীদের ফল বিপর্যয় হয়েছে বলে মনে করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফলে বিষয়টি জানা যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়টির পড়াশোনার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মানিক লাল সরকার বলেন, আমরাও মর্মাহত গতবছর ১৫ জনে ১৪জন পাশ করেছে। এবছর মূলত দেশের পট পরিবর্তন হওয়ার কারনে আমরা ঠিক মতো ক্লাস নিতে পারিনায় ছাত্রীরাও ক্লাসে অনিয়মিত ছিলো।মুলত আমাদের শিক্ষকদের অবহেলার কারনে ফল বিপর্যয় হয়েছে। বিদ্যালয়ে সাহানা বেগম নামে এক সহকারি শিক্ষকের দীর্ঘ পনের বছর অনুপস্থিত রয়েছে।

এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মো: মনির হোসেন বলেন, ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কোন জবাবদিহিতা নেই। বিদ্যালয়ের সাহানা বেগম নামে এক সহকারি শিক্ষক পনের বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তিনি অসুস্থতার কথা বলে স্বামী সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকেন। প্রধান শিক্ষক মানিক লাল যখন খুশি তখন বিদ্যালয়ে আসেন। যে কারনে প্রতিষ্ঠানটি কোন নিয়মের ভিতরে নেই।

স্থানীয় বাসিন্দা মো: নজরুল ইসলাম বলেন, একসময় বিদ্যালয়টি খুব সুনামের সাথে চলত। ফলাফলে উপজেলায় ছিল একটি প্রতিযোগী স্কুল। প্রধান শিক্ষক মানিক লালের অদক্ষতায় বিদ্যালয়টির এমন ফল বিপর্যয়।ছাত্রীরা মোবাইল নিয়ে ব্যাস্তথাকে পড়ালেখায় অনীহা। শিক্ষকদের গাফিলতি আছে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার চাপ দিতে পারেন না সবমিলিয়ে এমন ফল বিপর্যয় হয়েছে।

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো: জাহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে কিভাবে এমন ফল বিপর্যয় হয়েছে তা জানতে চাব। বিদ্যালয়ে যে শিক্ষক পনের বছর ধরে অনুপস্থিত তা আমার জানা ছিলনা। আমরা শিক্ষক অভিভাবকদের নিয়ে একটা সভা করব। অনুপস্থিত ওই শিক্ষকের বিষয়ে খোজ নিয়ে জানব।

আনোয়ার হোসেন
নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *