বানারীপাড়ায় পরকিয়ার বলি হলো অবুঝ দুটি সন্তান ১৫ বছরের সংসার ছেড়ে দেবরের হাত ধরে চলে গেলেন স্ত্রী

আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি

মায়ের কাছে সন্তানই যে সবচেয়ে আপন তা ও মাঝে মাঝে মিথ্যা প্রমানিত হয় মায়ের পরকিয়া প্রেমের কারনে। আর তারই ব্যক্তয় ঘটেছে বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের বলহার গ্রামে। ফ্রান্স ফেরত রুহুল আমিনের (আমিন) স্ত্রী প্রমান করলেন সন্তান নয় পৃথিবীতে পরকীয়া প্রেমিকই বড় এবং আপন। রুহুল আমিনের (আমিন) ও তার স্ত্রী আসমা আক্তারের দীর্ঘ সংসার জীবনে রয়েছে দুইটি কন্যা সন্তান। বড় মেয়ে ৭ম শ্রেনী পড়ুয়া সুমাইয়া তাবাসসুম ও ছোট মেয়ে সূরাইয়া আফরিন (৯)। এই সন্তানদের রেখে রুহুল আমীন প্রবাসে কষ্টার্জীত জীবন অতিবাহিত করে স্ত্রী ও সন্তানদের সুখের জন্য।ঘরের শত্রু ভিবিষনের মত আমীনের আপন চাচাতো সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে। সম্পর্ক গভীরতায় রুপ নিলে আমীনের স্ত্রী গোপনে আমীনকে ডিভোর্স দিয়ে তার চাচাতো ভাই শামীমকে বিবাহ করেন। এই সংবাদ শোনা মাত্রই রুহুল আমিন দেশে এসে মেয়েদের মুখের দিকে মায়ের স্নেহ ভালবাসা থেকে যাতে বঞ্চিত না হয় সেই কথা ভেবে পুনরায় স্ত্রীকে ঘরে তুলেন। ভুলে যান পিছনের কষ্টের ঘটনাগুলি। পরবর্তীতে সংসার জীবনে সব কিছু মানিয়ে নিতে বিন্দু পরিমান ত্রুটি রাখেননি রুহুল আমিন। রুহুল আমীনের ঘরে সুখ শান্তি ফিরে আসে। সন্তানদের নিয়ে ভালোই দিন কাটছিল রুহুল আমিনের। পুসরায় প্রবাসে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসলে রুহুল আমিন ভবিষ্যৎ নিরাপত্ত্বার জন্য বানারীপাড়া থানা স্বরনাপন্ন হয় যাতে তার অনুপস্থিতিতে তা চাচাতো ভাই শামীম তার সুখের সংসারে কোন সমস্যা কিংবা চির ধরানোর চেষ্টা না করতে পারে। রুহুল আমিন সবার উপস্থিতে সব কিছু আপস মীমাংসায় সমাধান ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্ত্বা হবে এমন ভাবলে ও ঘটে গেল ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাসৃ। ঘটনা হয়ে গেল উল্টো । গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ থানায় সভা সালিশ উপস্থিত থাকাকালীন হঠাৎ সবার সম্মুখে তার স্ত্রী আসমা রুহুল আমিনকে বলেন উনি আমার স্বামী না আমাকে জোর করে রেখেছেন । আমার স্বামী শামীম। শালিশ বৈঠকে উপস্থিত সবাই তাজ্জব বনে গেল। যে স্ত্রী স্বামীর ঘর হতে বড় সন্তানকে সাথে নিয়ে স্বামীর সাথে থানায় আসলো। সে কিনা দেবরকে দেখেই সুর পালতে নিলো। শালিশ বৈঠকে উপস্থিত সবাই আসমা বেগমকে অনুরোধ করলো সন্তানদের জন্য হলে ও রুহুল আমীনের সাথেই যেন সংসার করে। কিন্তু কঠিন হ্দয়ের স্ত্রী কারো অনুরোধের তোয়াক্কা না করেই তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শামীমের হাত ধরেই চলে যান নিজের পেটে রাখা অবুঝ দুটি মেয়ে সন্তান রেখে। ৭ম শ্রেনী পড়ুয়া বড় মেয়ের কান্নায় ঘটনাস্থলে থাকা উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা এবং জনসাধারণের হৃদয়ে ব্যাধিত করে চোখের কোণে জলচ্ছাস এনে দেয়। ৯ বছর ও ১৩ বছরের দুই সন্তানকে রেখে মায়ের অন্যের হাত ধরে চরে যাওয়া যেন সন্তানদের কাছে পাহাড় সমান বোঝার চেয়ে কঠন তর কঠিন। মায়ের চলে যাওয়ায় স্নেহবঞ্চিত মেয়েদের মুখের হাহাকার কোনদিন কি পূরন হবে।

আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া বরিশাল প্রতিনিধি।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *