July 4, 2025, 10:02 pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ঘনশ্যামপুর গ্রামে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে উদ্বোধন করা হলো “ঘনশ্যামপুর বহুমুখী ইসলামী পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্র”।
৪ জুলাই শুক্রবার এ পাঠাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম প্রধান
মো শফিকুল ইসলাম, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ নাজেম হোসেন, মোঃ ফানিসুর রহমান, মোঃ লতিফুর রহমান, মোঃ মতিউর রহমান, আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন
মোঃ সালাউদ্দীন আহম্মেদসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এটা অতি পুরাতন কথা। আর বর্তমানকালে বলা হচ্ছে, আধুনিক তথা কর্মমুখী শিক্ষা ছাড়া শিক্ষা মূল্যহীন। এর সাথে নৈতিকতা ও মানকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তাই এসব ক্ষেত্রে যারা যত অগ্রগামী হচ্ছে, তারা তত উন্নতি করছে। তাই বেশিরভাগ দেশ এসবের দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। তবে, এতে সব দেশই যে সমান সফল হয়েছে, তা নয়। তথাপিও যতটুকু উন্নতি করেছে, তাও থমকে গেছে। এ জন্য সবাইকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এ পাঠাগার আগামী দিনে সকলের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হবে ইনসাল্লাহ।
গ্রাম প্রধান মো শফিকুল ইসলাম বলেন,
পাঠাগার শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ করলে হয় পাঠ+আগার। অর্থাৎ পাঠাগার হলো পাঠ করার উপাদান সজ্জিত আগার বা স্থান। বিশদভাবে বলা যায় পাঠাগার হলো বই, পুস্তিকা ও অন্যান্য তথ্য সামগ্রীর একটি সংগ্রহশালা যেখানে পাঠকের প্রবেশাধিকার থাকে এবং পাঠক সেখানে গবেষণা ও তথ্যানুসন্ধ্যান করতে পারে। মানুষের বই পড়ার আগ্রহ থেকেই পাঠাগারের সৃষ্টি। শতাব্দী থেকে শতাব্দী বছর ধরে মানুষের জ্ঞান জমা হয়ে থাকে পাঠাগারের বইয়ের পাতায়। অসীম জ্ঞানের ভান্ডার হলো বই। আর সেই বইয়ের আবাসস্থল হলো পাঠাগার। আমাদের দেশে পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। মানুষ সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উপলব্ধি করতে পারছে শুধু বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য নয়, মনের জন্যও খাদ্য প্রয়োজন। পাঠাগার মানুষের ক্লান্ত ও বুভুক্ষু মনকে প্রফুলস্ন করতে পারে। পছন্দমতো জিনিসের সন্ধান দিয়ে তার মনের খোরাক জোগাতে সাহায্য করে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, যিশুখ্রিষ্টের জন্মের বহু আগে মিসরে, প্রাচীন গ্রিসেও পাঠাগারের অস্তিত্ব ছিল। ভারতে প্রাচীনকালে পন্ডিতদের ব্যক্তিগত পাঠাগার ছিল আধুনিককালে বিজ্ঞানের সহায়তায় উন্নত পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত পাঠাগারের মধ্যে ব্রিটিশ মিউজিয়াম, মস্কোর লেনিন লাইব্রেরি, ফ্রান্সের বিবিওথিক নাসিওনাল লাইব্রেরি, ওয়াশিংটনের লাইব্রেরি অব কংগ্রেস, কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি উলেস্নখযোগ্য। আমাদের দেশে ঢাকায় ‘কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি উলেস্নখযোগ্য। এ ছাড়া ঢাকায় বাংলা একাডেমি গ্রন্থাগার, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, এশিয়াটিক সোসাইটি লাইব্রেরি, ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি।
এ যুগের ছাত্র-ছাত্রীরা স্মার্ট ফোনের আসক্ত হয়ে বই যে পরম বন্ধু সেটা তারা ভুলে গেছে।তারা পাঠ্য বইয়ের বাইরে কোন বই পড়তে চাই না। মোবাইলে গেম খেলে, ঘন্টার পর ঘন্টা অলস সময় পার করে। তাদেরকে পড়ার টেবিলমুখি করার জন্যই এ পাঠাগারের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মোঃ হায়দার আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী।