খুলনা নগরীর কিশোর গ-্যাংয়ের মাষ্টা-রমাইন্ড সাহেল গ্রেফ-তার

তৈয়ব আলী পর্বত।।
খুলনা নগরীর কিশোর গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ড সদস্য সাহেলকে গ্রেফতার করেছে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ।৩ জুলাই ২০২৫বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর গল্লামারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী সাহেল সোনাডাঙ্গা গল্লামারী রোডস্থ এম . এ . বারি সড়ক এলাকার আক্তারুজ্জামান বাবুলের ছেলে। সাহেল এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী ও মাদকব্যবসায়ী, চিহ্নিত ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং একাধিক মামলার চিহ্নিত আসামী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা থানার এস আই মোস্তফা বলেন, সাহেলকে গল্লামারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন গ্রেফতারকৃত আসামী সাহেল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা মহানগরের যুগ্ম আহবায়ক সাজিদকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা মামলা, আরামবাগ মিজানকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা এবং ট্রাক স্ট্যাান্ডে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, বাইপাসে সিটি হোটেলে ম্যানেজারকে চাদা দাবিতে কুপিয়ে আহত করে এবং কয়েকবার চাদা নেয়।

সাহেলের বিরুদ্ধে সেনাবিহিনির কাছে দেওয়া বিভিন্ন অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোনাডাঙ্গা পশ্চিম পাড়া আল-আমিন মহল্লা ৩ গলির আঃ রশিদের ছেলে মোঃ ইমরানের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইমরানের একটি থ্রি স্টার নামে রিক্সা গ্যারেজ আছে যেটি তার পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। পক্ষান্তরে বিবাদী সাহেল এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী ও মাদকব্যবসায়ী, চিহ্নিত ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, একাধিক মামলার চিহ্নিত আসামী। সাহেল দীর্ঘদিন যাবৎ নানা রকম হুমকি ধামকি প্রদান করে প্রায় মাঝে মধ্যে সন্ধ্যা রাতে আমার গ্যারেজে ঢুকে বিভিন্ন সময়ে ১০ হাজার , বিশ হাজার, ৫ হাজার ও ১৫ হাজার টাকা নিয়ে স্থান ত্যাগ করে। টাকা নেওয়ার সময় সাহেল বলে এই সব কাউকে বল্লে তোকে জানে মেরে ফেলব বলে হুমকি প্রদান করে। তার ভয়ে এলাকার কেউই প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। ৫ ই আগস্ট এর পরে তার নির্যাতন বেশি শুরু হয়েছে। ভয়ে সাধারন ব্যবসায়ীরা মুখ খুলতে পারছে না। এদিকে, আল-আমিন মহল্লার মোঃ ইলিয়াস নামে আরও একজনের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাহেল ইলিয়াসের এ্যাপসি মটোরবাইকে কোপ দিয়ে ভয় ভিতী ও জিম্মী করে ১০ হাজার টাকা নেয়। এরপরে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধামকি প্রদান করে আমার রিক্সার গ্যারেজে ঢুকে ৪২ হাজার টাকা নিয়ে স্থান ত্যাগ করে। টাকা নেওয়ার সময় সাহেল বলে এই সব কাউকে বললে জানে মেরে ফেলব। আল আমীন মহল্লার রিক্সা গ্যারেজ মালিক মনিরুলের কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা চাদা নিয়েছে। অপরদিকে, সাহেল বিভিন্ন ভয় ভিতি দিয়ে আল আমিন মহল্লা ৩ গলি, পশ্চিম পাড়া এলাকার রিক্সা গ্যারেজ মালিক মোঃ ওলির কাছ থেকেও ১০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *