June 30, 2025, 4:39 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
আশুলিয়ায় ৫ লক্ষ টাকা ছিন-তাই গু-লাগুলি ও পৃথক স্পটে কিশোর গ-্যাং সন্ত্রা-সীদের হাম-লায় আহ-ত-৫ দুদ-কের বিশেষ অভি-যানেও ব-ন্ধ হয়নি বিআরটিএ কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসের অনি-য়ম দুর্নী-তি পরিশ্রমী এক মানবিক চিকিৎসক ডা. হাসান মাহমুদ পাইকগাছা-সাতক্ষীরার গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের কাজ ফে-লে পালি-য়েছেন ঠিকাদার মহেশপুর সীমান্তে ফের ভারতীয় নারী আ-টক ঝিনাইদহের বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী’২৫ পালিত তেঁতুলিয়ায় বিবিজি প্রকল্প কাজে ব্যাপক অ-নিয়ম, অফিস নেয় লাখে ২৫ হাজার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা-গারে খুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তারুণ্যের উৎসব ও আলোচনা সভা অনিষ্ঠিত অ-বৈধ সম্পদ অর্জন: স্ত্রী-পূত্রসহ বালুব্যবসায়ী রাজশাহী মহানগর আ.লীগ নেতা বেন্টুর বিরু-দ্ধে দুদ-কের মা-মলা সরকারী নির্দেশে ৭ ব-ন্দীর সা-জা মওকুফ, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি
দুদ-কের বিশেষ অভি-যানেও ব-ন্ধ হয়নি বিআরটিএ কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসের অনি-য়ম দুর্নী-তি

দুদ-কের বিশেষ অভি-যানেও ব-ন্ধ হয়নি বিআরটিএ কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসের অনি-য়ম দুর্নী-তি

হেলাল শেখঃ সারাদেশে দুদকের বিশেষ অভিযানেও বন্ধ হয়নি বিআরটিএ কর্মকর্তাসহ নির্বাচন অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদে অনিয়ম দুর্নীতি। ঢাকাসহ সারাদেশে ৩৫টি অফিসে দুদকের অভিযানেও কর্মকর্তাদের কৌশলগত অনিয়ম দুর্নীতি এখনো কমেনি। কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করার পর দুদকের অভিযান চলমান রয়েছে, সংবাদ প্রকাশ করায় এর মধ্যে সংবাদ কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে দালাল চক্র। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে গিয়ে দালালদের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন এবং নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকাসহ দেশের ৩৫টি বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতর্ৃপক্ষ) অফিসে একযোগে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই সাথে নির্বাচন অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদে অনলাইনে নাম বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে কিছু হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়।
সোমবার (৩০ জুন ২০২৫ইং) জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে দুদক নিয়মিত অভিযান চালালেও বিআরটিএ কর্মকর্তারা অনেকেই নতুন কৌশলে ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেছে। জানা যায়, গত (৭ মে ২০২৫ইং) সকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলা কার্যালয় থেকে অভিযান শুরু করেন দুদক কর্মকর্তারা। রাজধানীর উত্তরা ও ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ অফিস ছাড়াও গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, চট্রগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, পাবনা ও সিলেটসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিআরটিএ অফিসগুলোতে অভিযান চালানো হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তাসজির আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, গত বুধবার সারাদেশে ৩৫টি বিআরটিএ অফিসে একযোগে অভিযান চালানো হয়। এরপর আবারও অভিযান চালায় দুদক কিন্তু কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না অনিয়ম দুর্নীতি।
সুত্র জানায়, অনেক অফিসেই দালালদের সরব উপস্থিতি ও সেবা দিতে গিয়ে ঘুষ দাবি করার প্রমাণ মিলেছে। অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ মানুষ দালাল ছাড়া সহজে কোনো সেবা পাচ্ছেন না। অভিযানের আওতায় অন্যান্য জেলা অফিসের মধ্যে রয়েছে বাগেরহাট, বরিশাল, কক্সবাজার, কুমিল্লা, যশোর, পাবনা, ঠাকুরগাঁও, টাঙ্গাইল নেত্রকোনা, নীলফামারী, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, মেহেরপুর ও শেরপুরসহ আরো অনেক জায়গায়। এর আগেও ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩৬টি অফিস এবং গত ১৬ এপ্রিল দেশের ৩৫টি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসেও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছিলো দুদক। এ অভিযানগুলো সরকারি সেবা সংক্রান্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক পদক্ষেপের অংশ বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তাগণ। উক্ত ব্যাপারে আমাদের রিপোর্টার মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ধারাবাহিক ভাবে চলবে।
এর আগে বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদটি প্রকাশ করা হয়, বিশেষ করে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ ও সাভারে বিআরটিএ অফিসের কুখ্যাত দুনীতিবাজ মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খান গোপালগঞ্জ এলাকায় বিয়ে করে জামাই হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে ছিলো সুসম্পর্ক আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঢাকাসহ নিজ এলাকায় বাড়ি গাড়িসহ অনেক সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এমনকি সংশ্লিষ্ট দালাল চক্রের সদস্যরাও একাধিক বাড়ি গাড়ির মালিক বুনে গেছেন। সূত্র জানায়, সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া পেঁয়ারা বাগান এলাকায় বাড়ি করেছে মোস্তফা কামাল নামের এক সক্রিয় দালাল। জানা গেছে, বিআরটিএ কর্মকর্তা মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খান তার অফিসে সঠিক সময় আসেন না। অফিসের সংশ্লিষ্ট লোকজন জানায়, তাদের সাথেও তিনি মাঝে মধ্যে খারাপ ব্যবহার করেন, টাকার গরমে মানুষকে মানুষ মনে করেন না বলে অফিসের লোকজন অনেকেই জানান। অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম অনিয়ম দুর্নীতি করে ঢাকায় ফ্ল্যাট বাসা বাড়ি গাড়ি করে শত শত কোটি টাকার মালিক বুনে গেছেন। এ ব্যাপারে একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। দুদক কর্মকর্তা বিভিন্ন অফিসে অভিযান করলেও সাভারে অভিযান করার বিষয়ে নিশ্চিত নয়।
জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম খানের কয়েক বছর আগে তেমন কিছু ছিলো না, বিআরটিএ’র অফিসে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণ করে ( ব্ল্যাক মানি) কালো টাকার মালিক বুনে গেছেন। সূত্র জানায়, বর্তমান সময়ে আলোচিত ও সমালোচিত কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ঢাকা বিভাগীয় বিআরটিএ অধিনস্থ ঢাকা জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোঃ আমিনুল ইসলাম খান। দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে আগত মোটরযানের কাগজপত্র নিয়ে সেবা পেতে আসা সেবাগ্রহীতাদের কৌশলে জিম্মি করে ভুলবাল বুঝিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পরীক্ষায় পাস-ফেলের গ্যাড়াকলে ফেলে দালাল নিযুক্ত সদস্য দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। প্রতিনিয়ত বিআরটিএ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়, এ যেন মহা ঘুষ বাণিজ্য ও বিআরটিএ অফিসের ভেলকিবাজি। ভুক্তভোগীরা জানায়, আমরা এই অফিসের কর্মকর্তার কাছে একরকম জিম্মি হয়ে আছি, তাদেরকে ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ফেল করে হয়রানি করে। পাস-ফেল তাদের হাতে, কৌশলে জিম্মি করে গ্যারাকলে ফেলে পরীক্ষায় ফেল করা হয় বলে অনেকেই জানান।
জানা গেছে, মাসের পর মাস ঘুরানো হয় ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে আসা লোকজনকে। অতিরিক্ত টাকা দিলে কম সময়ে লাইসেন্স পাওয়া যায় আর তা নাহলে হয়রানির শেষ নাই। এ ভাবেই চলছে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের মহোৎসব। কারণ, উক্ত অফিসের মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম গোপালগঞ্জের মানুষের কথিত জামাই। এখন আবার বিএনপি’র শীর্ষ নেতার আত্মীয়, নিজে আবার নাকি ছাত্র দল করতেন, তবে তার কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি, তিনি একজন সুবিধাবাদী মানুষ বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন। সূত্র জানায়, বিআরটিএ ঢাকা জেলা সার্কেলের অধিনস্থ সাভার বিআরটিএ অফিসে যোগদান করার পর থেকে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। সরকারি সাইনবোর্ডের আড়ালে থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেই যাচ্ছেন তিনি। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের মতো করে ভাবনিয়ে অফিস চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক গাড়ির মালিকের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, গাড়িপ্রতি ফিটনেস বাবদ ঘুষ গ্রহণ করেন ৫ হাজার টাকা, এই ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গাড়ির মালিকের ভোগান্তির মাত্রা আরো বেড়ে যায়। জানা গেছে, গাবতলী- টাঙ্গাইল মহাসড়কে এবং সাভারের ঢাকা-আরিচা পাটুরিয়া সড়কে হাজার হাজার মোটরযান চলে, এসব মোটরযানের বেশিরভাগই ফিটনেসবিহীন, এসব গাড়ি থেকে প্রতিবছর সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
গোপালগঞ্জের জামাই বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খানের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ দিকে বিআরটিএ দালাল চক্রের সদস্য সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার মোস্তফা কামাল এর মোবাইল নাম্বারে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ না করে তার ছেলের দিয়ে রিসিভ করে বলায় যে, বাবার জ্বর আসছে কথা বলতে পারবেন না। এর আগে উক্ত ব্যাপারে একাধিক সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। উক্ত ব্যাপারে ৩৫টি অফিসে দুদক অভিযান চালালেও বিআরটিএ অফিসের ঘুষ বাণিজ্য কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। জানা যায়, অনিয়ম দুর্নীতি ধরা পড়লেই অন্য জেলায় বদলি করা হয় সেই কর্মকর্তাকে, এই কারণে তাদের আর সমস্যা হয় না। উক্ত বিষয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।##

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD