July 1, 2025, 6:35 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ধর্মপাশায় বিয়ের প্রলো-ভনে ধর্ষ-ণের অভি-যোগে কনস্টেবল কা-রাগারে তানোরে পানিতে ডু-বে এক যুবকের মৃ-ত্যু বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর এর মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাবরেটরি শুভ উদ্বোধন সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকের ই-ন্তেকাল নড়াইলে জমিদারদের প্রাচীন ঐতিহ্য সুজানগরের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করতে সবার সহযোগিতা চাইলেন নবাগত কৃষি অফিসার বৃষ্টির কারণে পাইকগাছায় ছাতা কারিগরদের কদর বেড়েছে পাইকগাছায় পাখির জন্য গাছে মাটির পাত্র স্থাপন গৌরনদীতে আই-নশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ আদায়ে আবারও রাজপথে ফেরার হুঁশি-য়ারি এনসিপির
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৩ লক্ষাধিক মসজিদে প্রচারণায় ইসলামি দলগুলো

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৩ লক্ষাধিক মসজিদে প্রচারণায় ইসলামি দলগুলো

সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)ঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নতুন কৌশলে দেশে প্রায় তিন লক্ষাধিক মসজিদে শুক্রবারে একযোগে প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা করছেন ইসলামি দলগুলো আর বিএনপিও থেমে নেই তাদের প্রচারণায়, তবে একাধিক প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির ব্যানারে এটা দলের জন্য ক্ষতি হতে পারে বলে অনেকেরই অভিমত।
জানা গেছে, এর আগে লন্ডনে জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাদের এই সংলাপ জাতীয় ঐক্যের পথে হাটছে কি বাংলাদেশ। এদিকে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ তারা নির্বাচন করতে পারবে না আর সারা দেশে জামাত ও বিএনপির নেতা কর্মীরা পোস্টার দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছন। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচনে আচরণ বিধিমালা খসরা চূরান্তঃ প্রচারণায় থাকছে না পোস্টার: লঙ্ঘন করলে ৬ মাসের জেল। এসব নিয়ে গণমাধ্যমসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা বাঁধার মুখোমুখি হতে পারেন, বাকীটা-ইতিহাস।
বাংলাদেশের পতাকা সবুজের মধ্যে লাল সেই পতাকা বুকে নিয়ে কোটি কোটি মানুষ ঐক্য থাকায় স্বাধীনতা অর্জন আর এই নতুন বাংলাদেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা কতটুকুও তা জাতি জানতে চায়। যেখানে পুলিশকে মেরে হত্যা করলেও কিছুই হচ্ছে না, সাংবাদিকের উপর হামলা বা নির্যাতন করলেও ভুক্তভোগীরা সঠিক বিচার পাচ্ছেন না, মানুষকে যেখানে সেখানে মারছে, কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না।
অনেকেই বলেন, ভোট দেয়ার স্বাধীনতা আমরা সকলেই চাই কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা পাওয়া এতো সহজ নয়, আমাদের স্বাধীনতা কলংকিত নয় যদিও মা-বোন কলংকিত হয়। ১৭৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে কোটি কোটি মানুষ ঐক্য থাকায় যুদ্ধে শক্র পক্ষকে হারিয়ে আজকের এই স্বাধীনতা অর্জন, এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর বাংলাদেশে ৫ আগষ্ট ২০২৪ইং আরো একটি স্বাধীনতা অর্জন করেছেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে, নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে।
বাংলাদেশের নতুন স্বাধীনতার পর এখন দেশে নির্বাচন জরুরী দরকার বলে মনে করছেন জাতি আর বাংলাদেশের জনগণের ভোটার তালিকাভুক্ত হতে হলে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন হবে? কম্পিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইড-১৫২ পাতার (ক) বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। (খ) বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। (ঘ) নির্ধারিত কোন নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা হতে হবে। বাংলাদেশের নাগরিক সমস্যার শেষ নাই, অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রে নানারকম ভুল হওয়ায় জটিলতা রয়েছে। সেই ভুলগুলো ঠিক করতে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদেরকে, অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
১৯৭১ সালের পর আবারও দেশে যুদ্ধ হয়েছে এই যুদ্ধে ছাত্র-জনতাসহ অনেক মানুষ শহীদ হয়েছেন, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তবে আহত এবং নিহতদের ঘটনায় মামলা করা হলেও বেশিরভাগ মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ভুয়া বাদী কতর্ৃক সাংবাদিকসহ অনেকের নাম দিয়ে মামলা করা হয়েছে, তা একজন আহত বা নিহতের ঘটনায় একাধিক মামলা করা হয়েছে, তার মধ্যে কিছু ভিকটিমের পরিবার আর প্রতারক চক্র মামলা বাণিজ্য করার জন্য ভুয়া বাদী সেজে মামলা করেছে অনেক, যেমন: সাভার আশুলিয়ায় সাহেব আলী জলিল ভুয়া বাদী সেজে একাধিক মামলা করেছে তার তথ্য প্রমান রয়েছে। স্বাধীন দেশে এ কেমন প্রতারণা তা জাতি জানতে চায়। এখন আসি বাংলাদেশের নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনার বিষয় নিয়ে।
সূত্রমতে, বাংলাদেশের প্রথম-প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন, বিচারপতি এম. ইদ্রিস। নির্বাচন কমিশনার এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক কর্মাবসানের পর প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন পদে নিযুক্ত হবার যোগ্য হবেন না। নির্বাচন কমিশনার এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক কর্মাবসানের পর প্রজাতন্ত্রের কর্মে অন্য কোন পদে নিযুক্ত হবার যোগ্য হবেন না। অবশ্য কেবল নির্বাচন কমিশনারগণ কর্মাবসানের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনাররুপে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন। “জাতীয় সংসদ ও নির্বাচন” জাতীয় সংসদ কি? তা জানা দরকার। বাংলাদেশের আইনসভা হল জাতীয় সংসদ, এটি এক কক্ষবিশিষ্ট এবং প্রজাতন্ত্রের সকল প্রকার আইন প্রণয়নের কেন্দ্র। জাতীয় সংসদের মেয়াদ কত বছর তা আমাদের জানা দরকার, মাত্র পাঁচ বছর। রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে না দিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হলে সংসদ আপনা-আপনি ভেঙ্গে যাবে। জাতীয় সংসদের গঠন কিরুপ?: সমগ্র দেশ থেকে নির্বাচিত ৩০০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। তবে সংবিধানে মেয়াদী ৩০জন মহিলা সংসদ সদস্য রাখার বিধান রাখা হয়েছে। সংরক্ষিত আসন ব্যতীত মহিলা সদস্যগণ অন্যান্য সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সূত্রমতে, জাতীয় সংসদের মোট সদস্য ৩৩০ জন। তা সংবিধান পরিবর্তন করা হলে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বা কমানো যাবে। জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার জন্য কি যোগ্যতার প্রয়োজন? প্রথমত বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। দ্বিতীয়ত কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স হতে হবে।
বাংলাদেশের প্রথম গণপরিষদ গঠিত হয় তা সবার জানা দরকার, মহামান্য রাষ্ট্রপতি অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি। এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি গণপরিষদ আদেশ জারি করেন। মোটামুটিভাবে (১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গন্য হয়)। এ আদেশ অনুযায়ী ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান অংশ থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সব সদস্য (৪৬৯জন – ১৬৯ জন = ৩০০জন) নিয়ে এই পরিষদ গঠিত হয়। শেষ পর্যন্ত গণপরিষদের সদস্য সংখ্যা ৪০৪ জনে দাঁড়ায়। গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন-১০ এপ্রিল ১৯৭২। সেসময় গণপরিষদের প্রথম স্পীকার ছিলেন শাহ আব্দুল হামিদ, দ্বিতীয় স্পীকার মোহাম্মদ উল্লাহ, গণপরিষদের প্রথম ডেপুটি স্পীকার মোঃ রায়তুল্লাহ, গণপরিষদের নেতা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের শাসনতন্ত্রে কতজন সদস্য স্বাক্ষর করেন তা জানা প্রয়োজন, ১৪ ডিসেম্বর ৩৫০জন এবং ১৫ ডিসেম্বর ৪৭জন-৩৯৭ জন। বাংলাদেশের চলমান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সাহেব, বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা সাহাবুদ্দিন মহোদয়, এবার আসি বাকি ইতিহাস কি বলে?
শক্রমুক্ত হোক দেশ, স্বাধীনতা সে আমার-স্বজন হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন, স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রিয় মানুষগুলোর রক্তে কেনা অমূল্য ফসল লাল সবুজের পতাকা। একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা। শক্রমুক্ত হোক বাংলাদেশ, এই কথাগুলো আমরা ভুলতে পারি না কারণ,এখন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের মানুষ জানেন, তা এখন ইতিহাস। বিশেষ করে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে মানুষ ঐক্যে সেদিন গোটা দেশ, একটি কথা একটি আশা শক্রমুক্ত হবে বাংলাদেশ। লাখো মায়ের আহাজারি, স্বাধীনতা তোমার লাগি ঝড়ছে পাহাড় পরিমাণ রক্ত, কত অশ্রুবারি হয়েছে বাংলার বুকে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গড়লো যারা নতুন দেশ, তারা জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তান, তাদের রক্তে আজ এই বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। দেশ ও জাতির স্বার্থে যারা কাজ করেছেন, যারা স্বাধীনতার জন্য হাসি মুখে জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। ভাষা শহীদসহ সকল বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে জাতীয় দিবসগুলো পালন করে আসছেন বাঙ্গালি জাতি। সবাইকে বাংলাদেশের ইতিহাস জানা দরকার, সেই সাথে জাতীয় সংসদ নির্বাচন জরুরী। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে একযোগে প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামসহ বিভিন্ন দল। ভোটের পর কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল, বাকিটা-ইতিহাস।##

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD