June 16, 2025, 11:53 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
রামদেবপুরে ৩ দিন ব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হরিবাসর সংকীর্তন পুজা উৎসব অনুষ্ঠিত চাঁদাবা-জিতে অতি-ষ্ঠ ময়মনসিংহের ক্লিনিক ব্যবসায়ীরা, গ্রেফতারে ৭২ঘন্টার আ-ল্টিমেটাম বোদা পৌরসভায় দরপত্র আহবানের আগেই কাজ শুরু  তাড়াশে জাতীয় ইমাম সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা তিতাস গ্যাসের নতুন করে অ-বৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হা-তিয়ে নিয়েছে দা-লাল চক্র নি-ষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহারে পরিবেশ দূ-ষণসহ ন-ষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি নড়াইলের তুলারামপুরে বৃটিশ শাসনামলে নির্মান হয় দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদ সুজানগরে সেলিম রেজা হাবিবের নেতৃত্বে বিএনপি’র রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ মউশিক: শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ সদর উপজেলা শাখার কমিটির গঠন
বোদা পৌরসভায় দরপত্র আহবানের আগেই কাজ শুরু 

বোদা পৌরসভায় দরপত্র আহবানের আগেই কাজ শুরু 

বাবুল হোসেন,
পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)ও পৌর প্রশাসক শাহরিয়ার নাজিরের বিরুদ্ধে নিয়ম না মেনে নিজেই ঠিকাদারি কাজ শুরুর অভিযোগ উঠেছে। দরপত্র আহ্বানের আগেই নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করায় তীব্র সমালোচনার মুখে বোদা পৌর প্রশাসন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র ও সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৯ মে বোদা পৌরসভা ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩ টাকার দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্র কেনার শেষ সময় ৩ জুন এবং জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয় ৪ জুন। অথচ এ বিজ্ঞপ্তির অন্তর্ভুক্ত প্রথম প্যাকেজের কাজ শুরুর ঘটনা ঘটেছে তার আগেই।জানা গেছে, প্রথম প্যাকেজে ৯ লাখ ৯২ হাজার ৫৫২ টাকা বরাদ্দ। এই প্রকল্পে দরপত্র আহ্বান ও নির্বাচিত ঠিকাদার ছাড়া কাজ শুরু করে দেয় পৌর প্রশাসন। পৌর প্রশাসকের কক্ষ ও কনফারেন্স রুমের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ শুরু হয় গত মাসের ২৮ তারিখে। বিষয়টি অনুসন্ধানে নামলে সাংবাদিকদের কারণে ১৪ মে থেকে ওই কাজ বন্ধ রাখা হয়। বর্তমানে কক্ষ দুটি তালাবদ্ধ রয়েছে, যদিও কাজের প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, সরকারি প্রকল্পে দরপত্র ছাড়া কোনো কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে কাজ শুরু করলে তা স্পষ্টত: সরকারি ক্রয় নীতিমালার লঙ্ঘন। একই সঙ্গে এ ধরনের কর্মকান্ড সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।

বোদা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রাফি ইমাম বলেন, ‘আমার কাজ হলো টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। কাজের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলতে পারবেন।’বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বোদা পৌরসভার পৌর প্রশাসক বলেন, ‘কোন অনিয়ম হয়নি। আমরা চেষ্টা করেছিলাম ডিরেক্ট পারচেজে কাজটি করব। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত হলো এটা বড় আকারে টেন্ডারের মাধ্যমে করতে হবে। আমাদের যেটুকু আর্থিক সীমা আছে, বিধিবদ্ধ বিধান আছে সব কিছু অনুসরণ করেই আমরা কাজ করছি।’

এব্যাপারে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, ‘এটা খোঁজ নিতে হবে আগে। কথা বলতে হবে। কিভাবে করেছে না জেনে এক পক্ষের কথা শুনে তো আর কমেন্ট করা যাবে না। ব্যয় করার দুইটি নিয়ম আছে। টেন্ডারে বা পিআইসি’র মাধ্যমে করা যেতে পারে। তিনি যে কাজ করেছেন সেখানে সরকারি টাকা ব্যয় হয়েছে কিনা সেটা একটা বিষয়। যদি ব্যয় হয়ে না থাকে তাহলে সেটা কোথা থেকে হয়েছে সেটাতো বিষয় না। সরকারের কোন প্রতিষ্ঠান যদি বেনিফিটেড হয় সরকারের কোন লস ছাড়া তাহলেতো কোন সমস্যা নেই। সরকারি একাউন্ট থেকে টাকা খরচ হয়েছে কিনা সেটা আগে দেখেন। যদি না হয়ে থাকে তাহলে তো কথা নেই। আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিবো।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD