June 5, 2025, 5:59 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
পবিত্র ঈদুল আযহা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লতা গ্রুপ অফ কোম্পানির চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফাহিম মেরিন ড্রাইভ রোডের পাশে পৌরসভার ব-র্জ্য ডাম্পিং বন্ধ করতে হবে – পরিচ্ছন্নতা অভি-যানে বক্তারা দেবীগঞ্জে ম-দ ও ট্যাবলেট রাখার দায়ে ২ মা-দক ব্যবসায়ীর নামে মা-মলা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বর না জুনে হবে ? নেছারাবাদে মালটা বাগান থেকে মুড়ি ব্যবসায়ীর ঝুল-ন্ত লা-শ উদ্ধার বানারীপাড়া থানা পুলিশের বিচক্ষণতায় ডাকা-তির ঘটনার মূল হো-তাসহ ঢাকায় গ্রেফতার তিন চারঘাটে কোরবানির চা-মড়া সংরক্ষণের জন্য বিনামূল্যে লবণ বিতরণ পঞ্চগড়ে বিদ্যুৎস্পৃ-ষ্ট হয়ে তিন শ্রমিকের মৃ-ত্যু সেনাপ্রধানের সাথে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ হারিয়ে যাওয়া ৫৬টি মোবাইল ফোন ফেরত দিলেন রাজশাহীর এসপি
তেঁতুলিয়ায় হারভেস্টারে ধান কর্তনে সরকারি মূল্য বলতে পারছেন না কৃষি অফিসের কেউ

তেঁতুলিয়ায় হারভেস্টারে ধান কর্তনে সরকারি মূল্য বলতে পারছেন না কৃষি অফিসের কেউ

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের তুলশীয়ার বিল এলাকায় চলছে বোরো ধান কর্তনের মৌসুম। এই মৌসুমে ধান কর্তনে কৃষকরা নির্ভর করছেন সরকারের দেওয়া কম্পাইন হারভেস্টারের ওপর। অথচ কৃষি অধিদপ্তরের নির্ধারিত সরকারি মূল্য বলতে পারছেন না উপজেলা কৃষি অফিসের কেউ! এদিকে মাঠ পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে ভয়াবহ অনিয়ম। বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন হারভেস্টার মালিকরা। কৃষি অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্যের কোনো বালাই নেই সরেজমিনে।

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, সরকারের উন্নয়ন সহায়তা (ভুর্তুকি) মেশিন দিয়ে ধান কাটাই-মাড়াইয়ের নির্ধারিত মূল্য কত, তা জানেন না কৃষক, মেশিন মালিক এমনকি দায়িতপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তারাও!

কৃষকদের অভিযোগ, মাঠে ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত খরচ গুনে মেশিন ডাকতে হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক আইনুল হক বলেন, “চার হাজার টাকা চেয়েছে ধান কাটা বাবদ। সরকার থেকে কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে তা আমরা জানিনা। কৃষি অফিস আমাদের জানালে এই বাড়তি টাকা গুনতে হতো না।” স্থানীয় কৃষক জুয়েল বলেন, তার ধান খেত রাস্তার কাছে হওয়ায় ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন হারভেস্টর মালিক।

একই অভিযোগ আরও কয়েকজন কৃষকের। কেউ কেউ বলেন, “একেক জন একেক দাম নিচ্ছে। নিজের খরচ বাড়িয়ে হলেও বাধ্য হচ্ছি ধান কেটে নিতে।”

কম্বাইন হারভেস্টার মালিক সুমন ও আসাদুজ্জামান বলেন, “আমরা জানি না সরকার কত টাকা নির্ধারণ করেছে। কৃষি অফিস কোনোদিন কিছু জানাইনি, মেশিন দিয়েই যেন দায়িত্ব শেষ। কয়েক দিন পর পর মেশিন নষ্ট হয়, তখন কোম্পানির লোক আসতেই চাইনা। আর যন্ত্রপাতি বাহিরে কিনলে কমে পাওয়া গেলেও কোম্পানির কাছ থেকে অনেক চড়া দামে কিনতে হয়। তারা আরও বলেন, কৃষকদের চাহিদা অনেক। আমরা তাদের দামের মধ্যেই ধান কেটে দিচ্ছি।”

ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “তিনি এ বিষয়ে তেমন জানেন না সরকারি রেট কত? জেনে তারপর জানাতে চেয়েছেন। তবে তিনি দেখতেছেন কৃষকরা মাঠে ধান কাটতেছে।”

এই বক্তব্যে পরিষ্কার হয় যে, মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা ও অফিস কর্মীরা সরকারের নির্দেশনা বা নির্ধারিত মূল্য সম্পর্কে না জেনে দায়িত্ব পালন করছেন, যা কৃষকদের ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে তুলছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জীবন ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘একটি রেজুলেশন আমরা করছিলাম সেটি ফাইনাল্লী হয়নি এখনো মনে হয় অনুমোদন। ওইটা করছিলাম ৫হাজার টাকা সম্ভবত এডজেক্ট বলতে পারবো না। তখন আমি বাইরে প্রশিক্ষণে ছিলাম।’

উপজেলা কৃষি অফিসার তামান্না ফেরদৌস এর কাছ থেকে জানার জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আফরোজ শাহীন খসরুর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জানা যায়, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। তবে এ ধরনের দায় এড়ানো বা তথ্য না জানার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি ও দিক নির্দেশনার অভাবকেই নির্দেশ করে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

সরকার আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে কৃষি সহজ ও লাভজনক করতে চাইলেও বাস্তবায়নের অভাবে কৃষকরা পড়ছেন সংকটে। ক্যাম্পাইন হারভেস্টার মেশিনের ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ এবং সুনির্দিষ্ট ধান কাটাই-মাড়াইয়ের কৃষি অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্য ও প্রচার ছাড়া কৃষকদের জন্য এটি আরও ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

কৃষি অফিসের এমন উদাসীনতা ও নজরদারির অভাব এখন শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয় বরং কৃষকের ওপর এক ধরণের অবিচার হিসেবেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD