January 22, 2025, 11:11 pm
মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম,তেতুলিয়া প্রতিনিধিঃ কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম, ঘুষ বাণিজ্য এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী প্রীতি মনোভাবের অভিযোগ তুলে পঞ্চগড়ে জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মন্ডল, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুজ্জামান ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু হেনা সিদ্দিকীর অপসারন দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে পঞ্চগড় আদালত চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি, সহ-সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান, মনিরুজ্জামান ফয়সাল ও মোজাহার ইসলাম সেলিমসহ ছাত্রনেতারা বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, পঞ্চগড় আদালতের জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মন্ডল ও বিচারক আশরাফুজ্জামান ও আবু হেনা এখনো আওয়ামী লীগের দোসরের ভূমিকা পালন করছেন। আগস্ট বিপ্লবের পরেও তারা ঘুষ, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় সমন্বয়কদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক। আগস্ট বিপ্লবের পরেও যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তারা আওয়ামী লীগের দোসর। তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা না হলে আদালত ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি বলেন, জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুকসহ চারজন বিচারক আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট। আদালতের নিয়োগে দুর্নীতি করে আইনমন্ত্রী এলাকার লোকদের বার বার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সরকারি বাড়ি ভাড়া নেয়া সত্ত্বেও জেলা ও দায়রা জজ আদালতকেই নিজের বাসভবন বানিয়েছেন।
তিনি আরোও বলেন, হাসিনার সময়ে প্রশাসনের লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হলেও তার দোসর এই বিচারকদের এখনো সরিয়ে নেয়া হয়নি। তাই তারা শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এখনো নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা। তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেয়া না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে আবারো রক্ত দেবো। তবু আর অন্যায় দুর্নীতি হতে দেবো না।
মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।।