January 18, 2025, 5:08 am
হেলাল শেখ: বাংলাদেশ পুলিশ ও বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছে একটি সুবিধাবাদী মহল। পুলিশ অফিসার ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ মানবাধিকার কর্মীদের অভিমত দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।
বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ‘আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাব’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, পুলিশ কাউকে আটক বা গ্রেফতার করলেই তখন সেই পুলিশ সদস্যকে খারাপ বলা হয় আর সাংবাদিক কারো পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচার প্রচারণায় সংবাদ প্রকাশ করলেই সেই সাংবাদিক ভালো না। দুর্নীতিবাজদের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা, রাজনৈতিক সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার কারণে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করছে, সেই সাথে অনেক সাংবাদিকের উপর হামলা মামলা করছে একটি মহল। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃত সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা হলে তা মেনে নেয়া যায় না। তিনি আরো বলেন, “সাংবাদিকদের অসম্মান করার অধিকার কারো নেই” যারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন বিভিন্ন মিডিয়ায় তাদের কোনো ভয় নাই। কোনো প্রকৃত সাংবাদিক কারো বিরুদ্ধে বদনাম বা অপপ্রচার করে না।
বিশেষ করে যারা মানুষের ভালো কিছু করা দেখতে পারে না, দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে, মানুষের বদনাম ছড়ায় তাদেরকে শনাক্ত করে আটক করার পর আইনের আওতায় আনা দাবী জানান সচেতন মহল। কলম সৈনিকরা কখনো কারো মিথ্যা সংবাদ লিখে প্রকাশ করেন না। যারা কলম হাতে নিয়ে মিথ্যা কোনকিছু লিখে তা অপপ্রচার করে তারা দেশ ও জাতির শক্র। অপরাধী সে যেইহোক না কেন তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হোক বলে অভিমত প্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতারা। পুলিশ বা সাংবাদিকরা বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩৬৪ দিন ভালো কাজ করে আর ১দিন যদি একটা ছোট ভুল করেন তখন তাদেরকে গালি দিয়ে বলা হয় খারাপ। অনেকেই নিজেদের বড় মনে করেন, নিজেদের স্বার্থের জন্য শক্রতা সৃষ্টি করেন আর একজন অন্যজনের ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন এটা ঠিক নয়। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার মধ্যে আনন্দ আছে। আমাদের লেখার মধ্যে বা দায়িত্ব পালনে ভুল হতে পারে এরজন্য হামলা, মামলার শিকার হতে হবে কেন।
সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার আদর্শলিপি পড়া দরকার। বিশেষ করে “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিক দেশ ও জাতির বিবেক, ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন,বিশেষ সম্মান অর্জন করার জন্য কিন্তু সম্মান অর্জন না হয়ে আরও বদনাম হয় কেন। শুধুমাত্র মানুষের সুখ, দুঃখ, আনন্দ বেদনা, দুর্ঘটনাসহ সকল বিষয়ে জাতির কাছে তুলে ধরতে সাংবাদিকরা কাজ করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের অবশ্যই চোখ কান খোলা রেখে কাজ করতে হয়।
সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেও কারো মন জয় করতে পারেন না। ছোট একটি ভুল করলেই সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা করা হয়, এমনকি হত্যার শিকার হতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাইকে বলা হয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা করবেন কিন্তু তার উল্টো দেখা যায়, পুলিশ সাংবাদিক কি কখনো বন্ধু হতে পেরেছেন? কেউ কি খবর নিয়েছেন যে, সাংবাদিকরা কেমন আছেন? কোনো সহযোগিতা লাগবে কি না?। সাংবাদিকরাই আজকাল মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জনগণের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে থাকেন সাংবাদিকরা, এর বিনিময়ে কি পাচ্ছেন? নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অনেক সাংবাদিক, হয়রানিমূলক মামলার শিকার হচ্ছেন অনেকেই, যার কোনো হিসাব নেই। পুলিশের অস্ত্র ও পোষাক দেখে অপরাধীরা ভয় পেয়ে থাকে কিন্তু সাংবাদিকের উপর হামলা করতে কেউ ভয় করে না।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৮কোটি জনগণ, সেই তুলনায় আইনশৃঙ্খা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকের সংখ্যা অনেক কম। ধন্যবাদ জানাই তাদেরকে যারা মানুষের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবি এই ৩টি শব্দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলো “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিক”। বিশেষ করে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি’র বেশিরভাগ শব্দ আছে যা সাংবাদিকদের জন্য জানা অতি জরুরি-যেমনঃ সংবাদের উৎসহের মত সংবাদের উপাদান কি? মানুষ এবং প্রকৃতি, মানুষের আশা-আকাঙ্খা, আনন্দ, বেদনা, সুখ-দুঃখ, সমস্যা ও সম্ভাবনাই সংবাদের মূল প্রতিপাদ্য। এর সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয়ই সংবাদের উপাদান। যেমনঃ কুকুর যদি মানুষকে কামড়ায় তা কোনো সংবাদ নয়, আর মানুষ যদি কুকুরকে কামড়ায় বা অপ্রত্যাশিত আর কিছু অপকর্ম করলে তা সংবাদ হয়। নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটনা, অন্যায় অবিচার, যা মানুষের অধিকারকে হরণ করে, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন, মানবাধিকার লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সাংবাদিকদের তথ্য জানার অধিকার আছে, তবে কারো সাথে বিবাদ বা শক্রতা করে সাংবাদিকতায় সাফল্য আসতে পারে না। সাংবাদিকরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, এতে স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করা সহজ হবে বলে অনেকেরই অভিমত। সাংবাদিক নেতারা অনেকেই জানান, সাংবাদিক শব্দ ছোট হলেও এটি একটি মহান পেশা। সাংবাদিকতা অনেক সম্মানজনক, তবে প্রকৃত সাংবাদিক হতে হলে অবশ্যই সাংবাদিককে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি পড়তে হবে, সেই সাথে সর্বশেষ সংশোধনীসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ম্যানুয়েল বই এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বইসহ বেশি বেশি বই পড়তে হবে। অনেকেই জানেন না যে, ১/ সাংবাদিক মানে জাতির বিবেক। ২/ সাংবাদিক মানে দেশ প্রেমিক। ৩/ সাংবাদিক মানে কলম সৈনিক। ৪/ সাংবাদিক মানে জাতির দর্পণ। ৫/সাংবাদিক মানে জাতির সেবক। ৬/সাংবাদিক মানে শিক্ষিত জাতি। ৭/সাংবাদিক মানে স্বাধীনভাবে কাজ করা। ৮/সাংবাদিক মানে সম্মানিত জাতি। ৯/ সাংবাদিক মানে তদন্তকারী। ১০/ সাংবাদিক মানে আইন বিষয়ে জানা। ১১/ সাংবাদিক মানে সিস্টেম পরিবর্তন করা। ১২/ সাংবাদিক মানে সকল বিষয়ে জানা।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুকে আঙ্গল দিয়ে দুই লাইন লিখে পোস্ট করলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না, বর্তমানে ফেসবুক লেখক ও সাংবাদিকরা কিছু নেতাদের ফেসবুক নেতায় পরিণত করেছে যা জাতির জন্য খুবই লজ্জাজনক। দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পেলেও সাংবাদিকরা কিন্তু কোনো প্রকার সহযোগিতা পাচ্ছেন না। বিশেষ করে ৫ আগষ্ট ২০২৪ইং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও গুলি করে হত্যা ও মানুষের লাশ পোড়ানো মামলায় সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, কিছু বিএনপি’র নেতাকর্মী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে ফায়দা নিচ্ছে একটি চক্র। কিছু পুলিশ সদস্যও আসামী হয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। শুধু জামায়াতে ইসলামের কেউ মামলার আসামী হয়নি এবং তাদের কেউ গ্রেফতার হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। ঢাকার আশুলিয়ায় সায়েব আলী ও আব্দুল জলিলসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী বিএনপি সেজে ভুয়া বাদী হয়ে একাধিক মামলা করে অনেক মানুষকে হয়রানি করার তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যদিকে বিএনপির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছেন, আর আওয়ামী লীগের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন পলাতক রয়েছেন, সবমিলে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তাদের পরিবারের কেউ দেশে নেই, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ইং পর্যন্ত দেশের ভিতরে বাইরে অনেক ঘটনা ঘটছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে চেয়ে আছেন পুরো ১৮ কোটি জনগণ। যতদিন যাচ্ছে ততই পরিস্থিতি একরকম খারাপ ও জটিলতা বাড়ছে, অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন যে, দেশের পুলিশ ও সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির জন্য কি করছেন, তাদেরকে বুঝতে হবে এক দুইজন ভুল করছে তাদের দায় অন্যরা নিবে কেন জাতি জানতে চায়। বিশেষ করে সাংবাদিক ও পুলিশ মাঠে না থাকলে কি হয় তা সবাই জানেন কিন্তু স্বীকার করতে লজ্জা লাগে তাইতো?।