মুন্সীগঞ্জে প্রাথমিকে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ২০০ টাকা ও নানা অনিয়ম

লিটন মাহমুদ,
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

মুন্সীগঞ্জে শিশু ও প্রথম শ্রেণীর ভর্তির জন্য প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের মালিরপাথর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এ ছাড়াও প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১২০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। অনৈতিক ভাবে ৫২৭ জনের কাছ থেকে সর্বমোট আদায় করা হয়েছে ৬৩২৪০ টাকা। ৭ই জানুয়ারী পযর্ন্ত শিশু শ্রেণীতে ৪৩ ও প্রথম শ্রেণীতে ৭৩ জনের কাছ থেকে ভর্তি বাবদ আদায় করা হয়েছে ২৩২০০টাকা। এছাড়াও অতিরিক্ত শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করিয়ে নিজেরা বসে থাকা, বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে নিজেদের বানানো নোট বিক্রয়ের অভিযোগ রয়েছে। এর চেয়েও ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে, বিদ্যালয়ে গ্যাসের সিলিন্ডার ও চুলা ব্যবহার করে কয়েকদিন পর পর ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে খাবার রান্না করে খাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাবক বলেন, আমরা জানতাম সরকারি স্কুলে কোনো খরচ ানাই। কিন্তু এই বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণীতে ভর্তির জন্য ২০০ টাকা এছাড়াও সব ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকেই বুয়ার কথা বলে ১২০ টাকা করে নিছে। মাঝে মধ্যে সিট বিক্রি করে টাকা নেয়।

আরেকজন অভিবাবক জানান, নিজেরা ক্লাস ানা করাইয়া পিচ্চি পিচ্চি মাইয়া দিয়া ক্লাস করায়।কয়েকদিন পর পর ছাত্র-ছাত্রী দিয়া পিকনিকের মতো রান্ধা বাড়ি কইরা খাওয়া দাওয়া করে।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে দুইদিন বিদ্যালয়ে গেলেও প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায়নি,
মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষ্ক আফরোজা খানম টাকা নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, বুয়ার জন্য প্রতি মাসে প্রতি ১০ টাকা করে নেওয়া হয় অভিভাবকদের মাধ্যমে। কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। গ্যাসের সিলিন্ডার সম্পর্কে বলেন এটা চা খাওয়ার তৈরি করে খাওয়ার জন্য রাখা হয়েছে।

প্রধানশিক্ষক অস্বীকার করলেও নাম প্রকাশনা করে এই বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক শিশু শ্রেণীতে ভর্তিতে টাকা নেওয়ার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মোমেন মিঞা বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আপনার কাছ থেকে মাত্র জানলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলামকে অফিসে গিয়ে পাওয়া যায় নি। মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি মিটিং আছে বলেন এবং পরে কথা বলবো বলে জানান। পরে তার মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *