উপদেষ্টাকে দেখাতে প্রধান ফটকে রং, মেরামত বিহীন বাগান ও লাইটগুলো

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় স্থানীয় সরকার, পল্লী ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার আগমনে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকে নামে মাত্র রং করলেও মেরামত হয়নি বাগান ও পুকুরের রাস্তার লাইটগুলোর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ রক্ষবেক্ষণের যানবাহন গ্যারেজ নির্মাণের ছাউনীতে লাগানো হয়েছে পুরোনো টিন।

জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এসপিই/এডিপি প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পরিষদের অর্গানাইজেশনে ই-জিপি ৯৯১১২৪ নং দরপত্রের মাধ্যমে গত বছরের ২৬ মে দরপত্রটি প্রকাশ করা হয়। পরের মাসের ১১ তারিখ দরপত্রটি ক্লোজিং ও ওপেনিং করা হয়। দরপত্রটি পান মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ নামীয় প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হাসান আলী। এতে দরপত্রের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা ছিল ২৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩ টাকা। দরপত্র প্যাকেজের সংক্ষিপ্ত বিবরণে উপজেলা পরিষদ হলরুমের মেরামত, উপজেলা পরিষদ গার্ডেন মেরামত, পুকুরের রাস্তার লাইট মেরামত, প্রধান ফটক মেরামত এবং উপজেলা পরিষদ যানবাহন গ্যারেজ রক্ষণাবেক্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

এই দরপত্রের কাজটি গত বছরের আগস্ট মাসে শুরু করা হলে সেপ্টেম্বর মাসে কাজটি চোখে পড়ে। এরপর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ হলরুম মেরামত ও যানবাহন গ্যারেজ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়েছে। পরবর্তীতে জল্পনাকল্পনায় স্থানীয় সরকার, পল্লী ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার আগমের আগের দিন উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের নামমাত্র রং করা হলেও গার্ডেন মেরামত ও পুকুরের রাস্তার লাইট মেরামত করা হয়নি।

এ বিষয়ে জানার জন্য মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাসান আলীকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, কাজটি তখনই শেষ করে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। উপদেষ্টার আগমনে উপজেলা পরিষদ গেইটের রংয়ের কাজ কয়েকদিন আগে করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ গার্ডেন ও পুকুরের রাস্তার লাইট মেরামত না হওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, হলরুমে যে কাজ ধরা ছিল তার চেয়ে বেশি হওয়ায় অন্যান্য দুটি কাজ করা হয়নি। যানবাহন গ্যারেজে এস্টিমেটের চেয়ে বেশি এঙ্গেল লাগানো জন্য পুরোনো টিনকে নতুন টিন বানায় দিয়ে কাজটি করা হয়েছে। তবে বিল ভাওচার সম্পূর্ণ হয়েছে। আপনি ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলেন।

এ ব্যাপারে জানার জন্য গত মঙ্গলবার ও বুধবার (৭ ও ৮ জানুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ফজলে রাব্বিকে মুঠোফোনে কল করলে কলটি রিসিভ না হওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা পরিষদ হলরুম ও গ্যারেজের কাজ চলমান থাকাকালীন পুরোনো টিনের ছবি তুলে ইউএনও মহোদয়ের সরকারি নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ এ পাঠিয়ে অবগত করা হলে অফিসে কথা বলতে চেয়ে কোনো কথাও বলেননি এবং তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেননি।

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *