স্টাফ রিপোর্টারঃ
একজন ব্যতিক্রম কর্মোদ্যম, সৎ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। যিনি যখন যেখানে দায়িত্ব পালন করেন সেখানেই লোভ লালসার উর্ধ্বে উঠে নিজ প্রতিষ্ঠানকে গড়ে জনবান্ধব ও বিপদগ্রস্ত মানুষের আশ্রয়স্থল হিসাবে গড়ে তুলতে কাজ করেছেন।
মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ৩৩ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পাবনা জেলা প্রশাসনের সাঁথিয়া উপজেলায় সহকারী কমিশনার হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে প্রায় ৩ বছর সফলতার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করেন। যেখানে সাথিঁয়া ভূমি অফিস মানেই ছিল ভোগান্তি, টাকার ছড়াছড়ি, সাধারণ মানুষের হয়রানি আর অসহায়তার জায়গা। সেখানে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের যোগদানের পর ভূমি অফিসকে একটি স্বচ্ছ, ঘুষবিহীন ও জবাবদিহিতামূলক সেবা কার্যক্রম পাওয়ার ব্যবস্থা করে। তার নেতৃত্বে ভূমি অফিসের সব নৈরাজ্য দূর হয়ে সেখানে তৈরি হয় আস্থার পরিবেশ। সাথিঁয়া উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে একজন জনবান্ধব ও সৎ কর্মকর্তা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ময়মনসিংহ সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দ্বায়িত্বে থেকে উপজেলা প্রশাসনকে একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক সেবা কার্যক্রম পাওয়ার ব্যবস্থা করতে প্রতিনিয়ত কাজ করেছেন সদরের মানুষের জন্য।কাজ করেছেন সদর উপজেলা প্রশাসনকে একটি আধুনিক ও শিক্ষাবান্ধব উপজেলা প্রতিষ্ঠায়। তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা দপ্তরকে কার্যকর করার মাধ্যমে বিভিন্ন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মানোন্নয়নে ভূমিকা রেখে জেলা ও উপজেলায় শ্রেষ্ঠ ইউএনও হিসাবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।
উপজেলায় মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা,বাস্তবায়নসহ দপ্তর গুলোতে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দপ্তরের কার্যালয় পরিদশন করেন। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসাবে দায়িত্বে থেকে জেলার রাজস্ব অফিস সমূহের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণ ; ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ, আদায়, মওকুফ ও পুনঃনির্ধারণ; ভূমি রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ এবং হালনাগাদকরণ;কৃষি ও অকৃষি খাস জমি এবং অন্যান্য সরকারি সম্পত্তির বন্দোবস্ত প্রদানসহ বিভিন্ন কাজে অগ্রগতিতে দিনরাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।

Leave a Reply