শার্শায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ককে পদ থেকে অব্যাহাতি, নেতাকর্মী ও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে নিন্দার ঝড়

স্টাফ রিপোর্টার।। যশোরের শার্শা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান রিপনের পদ স্থাগিত করায় দলীয় নেতাকর্মী ও  সামজিক  যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে নিন্দার ঝড়।

নেতাকর্মীরা বলছেন, ভিজিএফ এর চাউল লুন্ঠন এর ঘটনায় থানায় মামলার রেকর্ডে নাম এবং মামলার বাদির কোন অভিযোগ না থাকলেও রাকিবুল হাসান রিপনকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ এর অভিযোগ উঠেছে। যা উদোরপিন্ডি বুদোর ঘাড়ে দিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কুচক্রী মহল মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করছে  সংবাদ প্রকাশের জন্য । 

জানাগেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর  শার্শার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিএফর এর চাউল উত্তোলন করে তাছলিমা খাতুন, হাজেরা বেগম, আসমা খাতুন, আনোয়ারা বেগম, আকলিমা খাতুন। চাউল উত্তোলন এর পর তারা নিজ গ্রাম ট্যাংরার উদ্দেশ্য ২০ বস্তা চাউল নিয়ে রওনা হন। এরপর বাগআঁচড়া নাভারন -সাতক্ষীরা রোডের  পাশে ইসমাইলের চাতালের সামনে থেকে ২০ বস্তা ( ৬০০ কেজি) চাউল লুটপাঠ করে নিয়ে যায়, বাগআঁচড়া এলাকার ইসমাইলের ছেলে মাসুদ ও রনি সুরোত আলীর ছেলে উজ্জল হোসেন, ফয়েজ পাটোয়ারীর ছেলে ফারুক হোসেন, ও আব্দুল মজিদ এর ছেলে তোহিদ হোসেন।

এ ঘটনায় তাছলিমা খাতুন বাদী হয়ে ওই পাঁচ জনের নামে শার্শা থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৪৪১২৩ তারিখ ১৯/১২/২০২৪।

পরে বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দলের আভ্যান্তরিন কোন্দলের কারনে পারিবারিক,রাজনৈতিক ও সামাজিক  ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মামলা না হলেও সাবেক বাঁগআচড়া ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার  ছেলে রাকিবুল হাসান রিপনকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে। যা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে এলাকার একাধিক সাধারন নাগরিক দাবি করেন।

এদিকে মামলার বাদী তাছলিমা খাতুন বলেন, রাকিবুল হাসান রিপন নামে কেউ তাদের চাউল ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত নয়। আমি যাদের নামে মামলা করেছি এরা চাউল ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত। কেউ তাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে তার বিষয় আমি কিছু বলতে পারব না। কারন সে এর সাথে জড়িত নয়। ছিনতাইকারীরা হয়ত তাকে এর সাথে জড়ানোর জন্য মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করতে পারে।

স্থানীয় একটি সুত্র জানায় রাকিব হাসান রিপন একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে। তার দাদা, পিতা এই ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান ছিলেন। এখানে বিএনপির দুটি গ্রুপ রয়েছে হয়ত তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তার নাম জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করতে পারে। এছাড়া সে ছোট বেলা থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বর্তমানে সে শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক,সে একজন পরিক্ষীত বিএনপির রাজনৈতিক সদস্য।

এ বিষয় রাকিবুল  হাসান রিপন এর কাছে জানতে চাইলে সে বলে , আমি এসব নিম্ন কাজের সাথে কি ভাবে জড়িত হই। এলাকার রাজনীতিতে একটি পক্ষ তাকে ও তার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার নামে বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেছে। তাছাড়া থানায় আমার নামে ওই ঘটনার সাথে জড়িয়ে কোন অভিযোগ ও নাই। 

এ বিষয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাউল ছিনতাই বা লুন্ঠন এর ঘটনায় রাকিবুল হাসান রিপন নামে কারো নামে অভিযোগ নাই। এ ঘটনায় তাছলিমা খাতুন নামে একজন নারী বাদী হয়ে ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে যেখানে রিপন এর নাম নাই।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *