December 22, 2024, 8:56 am
এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগর উপজেলায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠছে তিন ফসলি কৃষি জমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা। এ সকল ইটভাটা নির্মাণ নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় কৃষকেরা। জানা যায়, সরকারি নিয়মনীতি না মেনে সুজানগর উপজেলায় অবৈধভাবে তিন ফসলি কৃষি জমি গ্রাস করে গড়ে উঠছে ১০টির অধিক ইটভাটা। অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসকল ইটভাটার কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনকারী কৃষকেরা। শনিবার(২১ ডিসেম্বর) এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এক বছর আগে যেখানে পেঁয়াজ,ধানসহ বিভিন্ন সবজি আবাদ হতো সেখানে এখন নির্মাণ করা হচ্ছে ইটভাটা।শ্রমিকরা পুরোদমে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। নির্মিত ইটভাটার পাশের জমিতে চলছে পেঁয়াজের চারা রোপণ কার্যক্রম।স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, ইটভাটা নির্মাণের ফলে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভাটার সঙ্গে লাগানো রয়েছে কয়েকশ’ একর আবাদী জমি। আবাদি জমিতে এভাবে ইটভাটা নির্মাণের বিপক্ষে এলাকার সবাই। কিন্তু ভাটার মালিকেরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না। ফসলি জমিতে ভাটা হলে আশপাশের অন্য জমিগুলোতে কোনো আবাদ হবে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইট প্রস্তুত ও ভাটা (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী কৃষি জমি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বনভূমি,অভয়ারণ্য,জনবসতিপূর্ণ ও আবাসিক এলাকায় ও বছরে একের অধিক উৎপাদিত ফসলী কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করা নিষেধ রয়েছে । কিন্তু সে আইন লঙ্ঘন করে সুজানগর উপজেলার প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা গড়ে তুলছে ইটভাটা। শুধু তাই নয় গ্রামীণ রাস্তা ব্যবহার করে ভারী যানবাহন দিয়ে ইট ও ইট তৈরির কঁাচামাল পরিবহন করায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পাকা রাস্তা। ইটভাটা তৈরি করতে হলে ট্রেড লাইসেন্স, বিএসটিআই এর সনদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসক প্রদত্ত লাইসেন্স, কৃষি অধিদপ্তরের প্রত্যয়ন পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ইটভাটা স্থাপন করতে হয়। কিন্তুু উপজেলার বেশিরভাগ ইটভাটারই কাগজপত্র নেই। যার ফলে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ভাটাগুলো থেকে সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম জানান, উপজেলায় যে কৃষি জমি রয়েছে সে সকল জমির বেশিরভাগই দুই বা তিন ফসলী জমি, আর এ ধরনের জমিতে ইটভাটা করার কোন নিয়ম নাই।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ জানান, যে সকল ইটভাটার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই সেই সকল ইট ভাটার বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।।