December 27, 2024, 12:16 am
স্টাফ রিপোর্টার: আরিফুর রহমান,মাদারীপুর
কয়েকদিন যাবত ঢাকার দোহার নবাবগঞ্জে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বিষয়টি জানার পর ঢাকা-১ আসনের (দোহার-নবাবগঞ্জের) সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম শীতবস্ত্র নিয়ে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও এই অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।‘নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন’ থেকে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি কম্বল বিতরণ করছেন সালমা ইসলাম।
শুক্রবার সকালে নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা, চূড়াইন, গালিমপুর, বাহ্রা ও বক্সনগর ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে এসব কম্বল বিতরণ করেন।আরও টানা পাঁচ দিন দোহার-নবাবগঞ্জে বিভিন্ন ইউনিয়নে কম্বল বিতরণ করবেন তিনি।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় উপজেলার বক্সনগর ইউনিয়নের বর্ধনপাড়া মাঠে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণকালে তাদের উদ্দেশে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, দোহার-নবাবগঞ্জের যেকোনো দুর্যোগেই আমি ও আমার পরিবার আপনাদের পাশে দাঁড়াই, আগামীতেও দাঁড়াব। বিগত ১৭টি বছর ধরে আমি আপনাদের পাশে আছি, শুধু শীতবস্ত্রই নয়, ঈদের সময় ঈদসামগ্রী নিয়েও আমি হাজির হই আপনাদের মাঝে। হিন্দু ভাইদের পূজার সময় আর্থিক সাহায্য এবং খ্রিস্টানদের বড়দিনেও আমি তাদের পাশে দাঁড়াই। এছাড়াও এই অঞ্চলের রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভাট, নদীভাঙন রোধসহ সব ধরনের উন্নয়ন আমি করেছি। আগামীতেও এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
শীতবন্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার উদ্দেশে সালমা ইসলাম বলেন, আপনাদের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে নিজেরাও পরিশ্রম করুন। তাহলে সমাজ থেকে অভাব দূর হবে। হতদরিদ্র গরিব মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তাদের কাছে যেতে হবে। তবেই আমরা জনসাধারণের মনে স্থান করে নিতে পারব। পৌঁছাতে পারব আমাদের মূল লক্ষ্যে। এ সমাজে অসংখ্য দরিদ্র-অসহায় মানুষ বাস করেন। তাদের বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা, সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াতে হবে। তবেই দরিদ্র জনসাধারণের দুঃখ-কষ্ট লাঘব পাবে।
উপস্থিত সবার উদ্দেশে আরও বলেন, আপনার সন্তানকে শিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সম্ভব হলে তাদের হাতে-কলমে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে আপনার সন্তান আগামী দিনে রাষ্ট্রের সুনাগরিক হিসেবে ও দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে। তখন সে দেশের উন্নয়নে অংশ নেবে। তবেই সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও হতাশামুক্ত একটি নিরাপদ দেশ জাতি উপহার পাবে। ঘরে বসে না থেকে নারীদের পশু পালন, সেলাই প্রশিক্ষণ ও সবজি উৎপাদনে এগিয়ে আসতে হবে।দেখবেন সংসার ও সমাজ থেকে অভাব-অনটন দূর হয়ে যাবে।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালমা ইসলাম বলেন, আমার রাজনীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের ও দেশের উন্নয়নে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা। আসুন, আমরা দলীয় ভেদাভেদ ভুলে দল-মতের ঊর্ধ্বে এসে দুস্থ শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই।
উপস্থিত সবার উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, দোহার ও নবাবগঞ্জে অসচ্ছল মানুষের কথা চিন্তা করে বিগত ১৭ বছর ধরে শীতে কম্বল বিতরণ করে আসছি। যাতে শীতবস্ত্রের অভাবে আপনারা কেউ কষ্ট না পান।
আগলা ইউনিয়ন পরিষদে ফরিদা বেগম নামের এক বৃদ্ধা কম্বর হাতে পেয়ে খুশি হয়ে বলেন, সালমা ইসলামই প্রতিবছর আমাদের কথা মনে রেখে শীতের সময় শীতবস্ত্র নিয়ে হাজির হন। দুই দিন যাবত অনেক ঠান্ডা পড়েছে কম্বলটা পেয়ে খুব ভালো হলো। শীতে ঘুম আসে না। কম্বলটা গায়ে দিয়ে আজ ভালোভাবে ঘুমাতে পারব।
কথা হয় ৬০ বছর বয়সি মুনছের আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এ নিয়ে টানা তিনবার আমি শীতবস্ত্র কম্বল পেলাম। সালমা ইসলাম ছাড়া আমাদের দেখার মতো আর কেউ নেই।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মো. জুয়েল আহমেদ, মো. খলিলুর রহমান, এমএ মজিদ, মো. বোরহান, টিপু মিয়া, মো. মহসিন, ফরিদ মেম্বার, আনোয়ার মোড়ল, আবুল হাসেম, মো. বাহার বেপারী, সাহেদ ভূইয়া, মো. খাইরুল, তাজুল ইসলাম, মতিউর রহমান, মো. ফয়সাল, শুভ্র তালুকদার প্রমুখ।