মুন্সীগঞ্জে তিনটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ১১ ডাকাত আটক – পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

মুন্সীগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জে পৃথক ৩ ডাকাতির ঘটনায় ১১ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর ) দুপুর ২ঘ‌টিকার সময় মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন।

প্রেস রিলিজে বলা হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধা অনুমান ৭.১০ঘটিকার সময় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরডুমুরিয়া বাজারের তৃষ্ণা জুয়েলার্স এর মালিক প্রবির পাল তার দোকান হতে বাড়ি ফেরার পথে সদর উপজেলা ভিটি হোগলা এলাকায় ৫ জন লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তার মটরসাইকেল, ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রভীন পাল গত ৯ই সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে বিশেষ তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় ওই ঘটনায় জড়িত, খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, শামীম বেপারী এবং মোঃ আনোয়ার হোসেনকে আটক করে পুলিশ। লুন্ঠিত স্বর্ণ কিনার দায়ে এ ঘটনায় সবি রঞ্চন নিশি ও মিঠু কর্মকারকে ভাঙ্গা ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় ছিনিয়ে নেওয়া মটরসাইকেল সহ ৫ভড়ি স্বর্ণালংঙ্কার উদ্ধার করা হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয় গ্রেফতারকৃত খলিলুর রহমান এর বিরুদ্ধে ২টি, মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ৫টি, শামীম বেপারীর বিরুদ্ধে ১টি এবং আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।

এদিকে গত ২৯ জুন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার মিল্কীপাড়া এলাকায় মা জুয়ের্লাস এর মালিক পলাশ বাড়ৈ এর নিকট হতে ১০ ভরি স্বর্ণলংঙ্কার ও ৩ লক্ষ টাকা পুলিশ পরিচয়ে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় উপরের ডাকাতির ঘটনায় আটক খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ আলী এবং মোঃ আনোয়ার হোসেন উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় তাদের স্বীকারোক্তি মতে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা এলাকা হতে এ ঘটনায় জড়িত জুবায়ের আলম ও মহসিন মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় চোড়াই স্বর্ণ ক্রয়ের সাথে জড়িত থাকায় নিরঞ্জণ হালদারকে গ্রেফতার করা হয়। অভিয্ক্তু জুবায়ের আলম ও মহসিন এর বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে বলে প্রেস ব্রিফিয়ে জানানো হয়।

এদিকে গত ১২ই সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার কেয়াটখালী সংগ্লগ্ন ঢাকা মাওয়া এক্রপ্রেসওয়ের পাশে সার্ভিস রোডে ডাকাতির ঘটনায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা হতে ডাকাত কালাম বেপারী ও কসাই কালাম, রফিক এবং রফিকুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করা হয়।

রফিকের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলায় ২টি, কালাম বেপারী ও কসাই কালামের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *