নেছারাবাদে সমবায় সমিতির পাওনা টাকার বিপরীতে দুই কোটি টাকার সম্পদ বায়না করে নেয়ার অভিযোগ

আনোয়ার হোসেন,
নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি//
নেছারাবাদে সমবায় সমিতির সতের লাখ টাকার পাওনার বিপরীতে স্বাধীন হালদার নামে জনৈক এক লোকের চারতলা আলিশান বাড়ী সহ চব্বিশ শতক জমি বায়না করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মো: কাজী শিমুল এবং মো: মিজান দুই ব্যক্তি নিজেদের নামে ওই সম্পদ রেজিস্ট্রারি বিহীন বায়না করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিমুল কাজী আওয়ামী সমর্থক এছাড়া মো: মিজান বিএনপি সমর্থক। ভুক্তভোগী স্বাধীন হালদার এর অভিযোগ, তাকে জোড় করে ধরে এনে মামলা এবং মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে শিমুল কাজী এবং মিজান তার বাড়ী ও জমি ষ্ট্যাম্প পেপারে নিজেদের নামে একটা বায়না দলিল লিখে নিয়েছেন। তবে, সে বায়নাপত্রের কোন রেজিষ্ট্রারি হয়নি। স্বাধীনের অভিযোগ বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামানের ব্যবসায়িক অফিসে বসে গত সোমবার দুপুরের দিকে এ কাজ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী স্বাধীন হালদার ভয়ে গাঢাকা দিয়ে আছেন। এ খবর শুনে তার পিতা মাতা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। স্বাধীন হালদার কুড়িয়ানা গ্রামের রনজিৎ হালদার এর ছেলে।

অভিযোগে স্বাধীন হালদার বলেন, কুড়িয়ানা বাজারে মাতৃ সমবায় সমিতি নামে তার একটি সমিতি রয়েছে। তার সমিতিতে মাহামুদকাঠি গ্রামের মো: মিজান এবং রাহুতকাঠি গ্রামের শিমুল কাজী দুইজনে মিলে ১৫ লাখ টাকা পেত। এছাড়া একই গ্রামের কয়েকজন মিলে দুই লাখ টাকার মত আমানত পেত। সব মিলিয়ে তারা আমার কাছে সতের লাখ টাকা পাবে। ঘটনার দিন তারা আমাকে ধরে এনে বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামানের ব্যবসায়িক অফিসে বসে মামলা ও মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে আমার চারতলা বাড়ী সহ চব্বিশ শতক জমি বায়না করে নিয়েছে। ষ্ট্যাম্প পেপারে জোড়পূর্বক আমার স্বাক্ষর নিয়ে মিজান এবং শিমুল কাজী তাদের দুজনের নামে ওই বায়না দলিল করেছে। এ ঘটনার পর থেকে আমার পিতা মাতা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমার আত্মহত্যার পথ ছাড়া কোন উপায় নেই।

অভিযোগের বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে কাজী শিমুল অভিযোগ অস্বীকার বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা। পরে কথা বলব।

এ বিষয়ে স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক কাজী আনিসুজ্জামান বলেন, স্বাধীন হালদারের নিকট শতাধিক লোক দেড় দুই কোটি টাকা পাবে। তারা স্বাধীনকে আমার কাছে নিয়ে আসছিল। ওই সময়ে আমি স্বাধীনকে চলে যেতে বললে তাকে পাওনাদার সবাই মিলে হয়তো মেরে ফেলত। রাজনীতির জীবনে আমি কোন খারাপ কাজ করিনি।

স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো: কাজী কামাল বলেন, পৌর বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কেহ কোন অপরাধ করতে পারেনা। কেহ যদি করে থাকে তাহলে ব্যক্তির দায় দল নিবেনা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *