October 25, 2024, 1:26 pm
সুমন খান:
রাজধানীর মিরপুর গাবতলী
যানজট নিরসনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক মিরপুর, বিভাগ গাবতলী বাস টার্মিনালে ট্রাফিক সচেতনতা সভা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ দুপুর ১ টার ! সময় গাবতলী বাসটার্মিনাল অডিটোরিয়ামে বাস মালিক, সমিতি ও ড্রাইভার সমিতির সদস্যদের নিয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় মধ্য দিয়ে কোরআন তেলাওয়াতের শুরুতে ! যানজট নিরসনে সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধানের বিষয়ে দিকের মাধ্যমে তুলে ধরে ।
মিরপুরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানজট চিহ্নিত করে তা সমাধানের লক্ষ্যে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে-
বাস স্টপেজ ব্যতীত যেখানে সেখানে বাস না থামানো,নির্দিষ্ট স্টপেজে বাস থামানো এবং পার্কিং ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন। পর্যায়ক্রমে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
এ সময় উপস্থিত,বাস ট্রাক অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাবদ রমেশচন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন , খন্দকার মোঃ নাজমুল হাসান পি পিএম বার,অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার( ট্রাফিক) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ- পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক মিরপুর-বিভাগ) ঢাকা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন (চেয়ারম্যান,হানিফ এন্টারপ্রাইজ)। বক্তব্যে বলেন
তিনি বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালে কোন চাঁদাবাদি করতে যেন না পারে সে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে । শুধু তাই নয় এই বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পুলিশের সহায়তা নিয়ে কাজ করতে চাই আমরা। তিনি ট্রাফিক বিভাগকে অনুরোধ করেন সর্বদা তাদেরকে সহায়তা করে দেশকে সুন্দর সুশৃংখল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারাটা আমাদের সফলতা কামনা করছি। বিশেষ বক্তব্য রাখেন,
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খন্দকার নাজমুল হাসান বলেন, ঢাকা একটি মেগাসিটি। এর জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি ২৪ লক্ষ। যা অনেক দেশের মোট জনসংখ্যা চেয়ে বেশি। আমরা প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেক উন্নত শীল । কিন্তু আমাদের মধ্যে ট্রাফিক সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সাথে প্রায় সকলেই জড়িত আছেন বলে মনে করি। তাই সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নির্ভর করে ট্রাফিক নিয়ম-নীতি মেনে চলার ওপর দায়িত্বশীলতা নির্ভর থাকবেন। এজন্য প্রয়োজন ঢাকা মহানগরীতে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
খন্দকার নাজমুল হাসান আরও বলেন, পোশাক খোলার পর আমিও একজন সাধারণ যাত্রী আমি নিজেও গণপরিবহনে চলাচল করি।নিয়ম মানাকে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মনে করি সকলে সচেতন হয়ে এবং হর্ন প্রয়োজন ব্যতীত বাজানো থেকে বিরত থাকি। তাই অযথাই হর্ন বাজানো যাবে না এতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। আমরা যারা মাঠে কাজ করি আমাদের ট্রাফিক অনেকেই কানে কম শুনেন এই হর্ন ! এর শব্দের কারণে
ডিএমপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জনগণকে সচেতন করার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকি। আমাদের সবাইকে ট্রাফিক আইন ও নিয়ম-নীতি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।’ সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য যা যা করা প্রয়োজন পুলিশ তাই করবে উল্লেখ করেন খন্দকার নাজমুল হাসান।
সভায় অংশগ্রহণকারী সহস্রাধিক মালিক সমিতির সদস্য ও চলকদের ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের পক্ষ হতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ বিষয়ের প্রতিটি চালকদের মাঝে এবং জনসাধারণের মাঝে লিফটেড বিতরণ করেন ।