October 19, 2024, 9:41 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বিএনপি নেতা তারেকের মতবিনিময় সভায় মানুষের ঢল সুজানগরে একরাতে ৩ দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি,আটক-১ নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে আতংকে এলাকাবাসী মহেশপুরের বাঘাডাঙ্গায় এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী মহানগরের সভাপতি জুয়েল, সম্পাদক রকি, সাংগঠনিক বাতেন যারা নিরীহ ব্যক্তির নামে কেস করবে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে- রাজশাহীতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন : সভাপতি হাসান,সম্পাদক ইন্না পটিয়ায় রসিদাবাদ মাদ্রাসা কমিটি নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ  উদ্ভাবনী প্রতিভা বিকাশে নলছিটিতে স্টেম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত সিংড়ায় গণ অধিকার পরিষদের প্রতিনিধি সভায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কমিটি গঠন
নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে আতংকে এলাকাবাসী

নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে আতংকে এলাকাবাসী

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

নড়াইলের ভাঙ্গতে শুরু করেছে নবগঙ্গা নদী । ভাঙনের ঝুকিতে সড়ক, বাজার শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি মসজিদ কবরস্থানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নবগঙ্গা নদীর তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, গত ১৫ দিনের অব্যাহত ভাঙ্গনে নদীগর্ভে চলে গেছে বসতভিটা, ফসলী জমি, কাঁচাপাকা ঘর, গাছপালাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। আর ভাঙ্গনের ঝুকিতে রয়েছে কালিয়া উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ বারইপাড়া মাহাজন সড়ক,বসত বাড়ি, বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দ্রুত পদক্ষেপে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে এলাকায়।

কালিয়া উপজেলার নদীপাড়ের বিভিন্ন ইউনিয়নের হাজারো বাসিন্দাদের কাছে নদী ভাঙ্গন একটি চিরচেনা বিষয়। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বসতীরা তীব্র ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। কয়েক সপ্তাহের তীব্র ভাঙ্গনে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থাপনা।

সরজমিনে পরিদর্শন শেষে জানা যায়, কয়েক সপ্তাহ ধরে কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকায় শুরু হয়েছে নবগঙ্গা নদীর তীব্র ভাঙ্গন। নদীগর্ভে চলে গেছে ঘরবাড়ি, গাছপাড়াসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙ্গনের ঝুকিতে রয়েছে বারইপাড়া মাহাজন সড়ক, মানুষের বসতভিটা, কবরস্থান, মসজিদ, পাকা রাস্থাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এই সড়কটি নদী গর্ভে বিলীন হলে তলিয়ে যাবে হাজার হাজার একর ফসলী জমি, ভেসে যাবে শত শত মাছের ঘের।

কাঞ্চনপুর এলাকার বাসিন্দা মোঃ আলেক শেখ বলেন, আমাদের বাড়ি ঘর সব নদীতে চলে গেছে। আমাদের মাথা গোজার মত এই বাড়িটাই শুধু ছিল তাও চলে গেল । এখন আমার ছেলে মেয়েদের নিয়ে খুব কষ্টে জীবন যাপন করছি ।

একই গ্রামের বাসিন্দা আশরাফ মুক্তার বলেন, আমরা খুবই আতংকে দিন পার করছি ,আমাদের এই রাস্তা যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে আমাদের বাড়িসহ বাকি সব গুলো বাড়ি নদীতে চলে যাবে । সেই সাথে আমাদের এলাকার সব পুকুর ঘের সহ ফসলি জমি নদীতে চলে যাবে । আমাদের এলাকার প্রায় সবাই এই কৃষিকাজ করে জীবিকা নিব্র্হা করে।

নদী ভাঙ্গনে বসতবাড়ি হারিয়েূ সর্বশান্ত ফুলি বিবি বলেন ,আমার বাড়ি নদীতে চলে গেছে, এখন আমি আমার বসতবাড়ি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গিছি । কোথায় থাকবো কি করবো কিছুই বুৃঝতে পারছি না । এই বাড়িটুকু ছাড়া আমার আর কোনো জায়গা জমিও নেই যে সেখানে একটু মাথ্ াগোজার মত জায়গা পাবো। এখন আমার ছেলে মেয়েদের নিয়ে কোথায় থাকবো। আকাশের নিচে ছাড়া আমার থাকার কোনো জায়গা নেই।

বসতবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা তবিবুর শেখ আবেগঘন হয়ে বলেন, আমার সারাজীনের কষ্টের ফসল আমার এই বাড়ি টুকু তাও নদীতে চলে গেলে । অনেক কষ্টে আমি বাড়িটা করেছিলাম আমার আর কিছুই থাকলো না । জানিনা এখন পরিবার নিয়ে কোথায় থাকবো ।

আঙ্গিনার সবজি ক্ষেত ও বসতবাড়ি হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পথে আশ্রয় নেওয়া হাসি বেগম বলেন, আমার আার কিছুই নেই সব নদীতে চলে চলে গেছে । আশ্রয় নেওয়ার মত এখন আমার রাস্তা ছাড়া আর কোথাও জায়গা নেই, রাতে ঘুম নেই ঠিকমত খাবার নেই, কিভাবে রাত দিন পার করছি আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেনা ।

ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ভাঙ্গন রোধে অতীতে জরুরী ভিত্তিতে জিয়ো ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙ্গন রোধের প্রাথমিক চেষ্টা করা হয়। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জরুরীভিত্তিতে স্থায়ীভাবে বাধ নির্মানের দাবী জানিয়েছেন নদীপাড়ের বসতীরা।

নদী ভাঙ্গনের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারবৃন্দ। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।

নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

উধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জরুরী ভাবে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা বলেন, স্থায়ীভাবে ভাঙ্গনরোধের জন্য সার্ভে করে প্রকল্প গ্রহনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। একই সাথে জরুরীভাবে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD