নাগেশ্বরীতে জমি বিক্রির নামে ১৩ লাখ টাকা আত্মসাত

এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

নাগেশ্বরীর হাসনাবাদ ইউনিয়নের চিন্তারখামার গ্রামের হরিদাস চন্দ্র দাসের ছেলে সাধন চন্দ্র দাস তার দোকানঘর ও জমি বিক্রির নামে জনসম্মুখে ১৩লাখ টাকা দীর্ঘ দুই বছর আগে হাতিয়ে নেয় হাসনাবাদ ইউনিয়নের বেতবাড়ী গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে ভুক্তভোগী তাজুল ইসলামের কাছে। সাধন চন্দ্র টাকা নেয়ার দীর্ঘ দুই বছর অতিবাহিত হলেও টাকা দিতে বিভিন্ন টালবাহনা করে আসছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের স্কুলেরহাট বাজারে ২টি দোকানঘর ও জমি বিক্রয় করতে চাইলে আলোচনা সাপেক্ষে ভুক্তভোগী তাজুল ইসলাম স্থানীয় লোকজনের সামনে তাকে ১৩লাখ টাকা দেন কিন্তু দীর্ঘ দুই বছর অতিবাহিত হলেও সাধন চন্দ্র জমি রেজিস্টার না করে দিয়েই গোপনে অন্যত্র জমি বিক্রি করেন। পরবর্তীতে তাজুল ইসলাম তার পাওনা টাকা সাধন চন্দ্র দাসের নিকট ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা ও হুমকি প্রদান করেন। পরে স্থানীয় পর্যায়ে সালিশ বৈঠকে সাধন চন্দ্র দাস টাকা ফেরত না দিয়ে অগ্রণী ব্যাংক ভিতরবন্দ শাখার একটি চেক তাজুল ইসলাম কে প্রদান করেন। ভুক্তভোগী তাজুল পরদিন অগ্রণী ব্যাংক ভিতরবন্দ শাখায় টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারে চেকের সাক্ষর ভুয়া এবং তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা নেই। পরে ভুক্তভোগী তাজুল আদালতের দারস্থ হলেও এখনো বহাল তবিয়তে সাধন চন্দ্র দাস।

অভিযুক্ত সাধন চন্দ্র দাস ১৩লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার সময় মতো আমি তাজুল ইসলাম কে টাকা দিবো। ছাত্রলীগ করেছি বলে আমি কিন্তু ভয় পাই না।

ভুক্তভোগী তাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার অনেক কষ্টের টাকা সাধন চন্দ্র দাস ফেরত দিচ্ছেন না। তিনি ব্যাংকের চেক জালিয়াতি করেন যা বড় ধরনের একটা অপরাধ। তাই The Negotiable instruments act. ১৮৮১ এর ১৩৮ধারায় আমি তার বিরুদ্ধে মামল দায়ের করেছি। প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ সত্যতা যাচাই করে আমার টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *