December 30, 2024, 5:07 pm
হায়দার আলী,
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ১ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্য. ইয়ামিন (১৮) নিজ জমিতে পানি দিতে যাওয়ার পথে ঘটনাটি ঘটে। ১৪ অক্টোবর ( সোমবার) আনুমানিক সকাল ৮:৪০ মিনিটে কৃষক ইয়ামিন তার জমিতে পানি দিতে যাওয়ার সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা যান। মৃত্যু ইয়ামিন উপজেলার বোগদামারী এলাকার মোঃ আবুল কালামের ছেলে।
পিরিজপুর এলাকার মৌলভী আলিমুদ্দীন গোপালপুর ( প্রাণ কোম্পানীর পাশে) ড্রাগন বাগানে জি আই তার দিয়ে শিয়াল মারার জন্য রাতে বিদ্যুতের সংযোগে শর্টসার্কিট করে রেখেছিল এবং দিনের বেলা সংযোগটি টেনে রাখেন। বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমতি ছাড়া সংযোগটি দেওয়া হয়েছিল বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , ইয়ামিন ভোরবেলা আলিমুদ্দীনের ড্রাগন বাগানের পাশ দিয়ে তার টমেটোর জমিতে পানি দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। এদিকে আলিমুদ্দীনের পেতে রাখা শিয়াল মারার ফাঁদের তার জড়িয়ে ঘটনা স্থলে মারা যান।
এলাকাবাসী প্রেমতুলি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে ফোন দিলে পুলিশ এসে ইয়ামিনের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দীর্ঘসময় ইয়ামিনের লাশ পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে পড়ে ছিল। পরে ইয়ামিনের পরিবার না দাবিপত্র লিখে দিয়ে লাশ বাড়ি নিয়ে যায়। তবে একটি সূত্র দাবী করেছেন ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ইয়ামিনের পরিবার নাদাবী লিখে দিয়েছেন। এর বিনিময়ে ড্রাগন বাগান মালিক ইয়ামিনের পরিবারকে একটি ফাঁকা ব্যাংকোর চেক স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। তিন বারে ১৫ লাখ টাকা পরিশোধ করার কথা রয়েছে। অনেকে মন্তব্য করেছেন মানুষের মূল্য কি ১৫ লাখ টাকা। সচেতন মহল, বিষয়টি তদন্তকরে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
প্রেমতুলি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই সামিউল ইসলাম জানান, ১৫ লাখের বিষয়টি সঠিক নয়। ইয়ামিনের পরিবার নাদাবি পত্র লিখে দিয়ে লাশ নিয়ে গেছেন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ রাজশাহী বিভাগের জিএম রমেন্দ্র জানান, আলিমুদ্দীন জিআই তার দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারেন না। এটা অবৈধভাবে হয়ত তিনি ব্যবহার করেছেন। আমি বিষয়টি লোক পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী।