December 21, 2024, 4:54 pm
এটিএম সেলিম,
ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ পুত্রবধূর সঙ্গে শ্বশুরের পরকীয়ার জেরে নির্মম ভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের পলাশতলী নিজপাড়া গ্রামের আঃ রহমান (গেন্দার) ছেলে আসাদুল ইসলাম (৪৫) ।
পুত্রবধূর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক শ্বশুরের পরকীয়ায় বাধা দেয় শাশুড়ি নাজমা আক্তার। পরকীয়া বাধা দেয়ায় শাশুড়ি নাজমাকে এক বছর আগে ডির্ভোস দেন স্বামী আসাদুল ইসলাম । নিহত আসাদুলের তিন ছেলে, মামুন হোসেন (৩০), সুজন মিয়া (২৬) শামীম মিয়া (২০) কে নিয়ে ঢাকা থাকেন নাজমা আক্তার। স্ত্রীর সঙ্গে বাবার এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে মামুনের তার স্ত্রী কে বাবা বাড়িতে রেখে আসার সিদ্ধান্ত নেন । পরে মামুন তার স্ত্রী সুন্দরীকে ডিভোর্স দেয় । কিন্তু বাবা এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। পুত্রবধূর সঙ্গে পরকীয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়ানো নাজমা আক্তার ও তার ছেলে মামুন । স্ত্রী ডির্ভোস হওয়ার পর মামুনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী সুন্দরী বেগম ও মামুনের পিতা আসাদুল ইসলাম।
নিহত আসাদুলের মা বলেন, আমার ছেলে আসাদুল ঢাকা গাড়ি চালায় গত সোমবার বাড়িতে আইলে, আসাদুলের সুমুন্দির বউ লাইলী আক্তার আসাদুল স্ত্রী নাজমা তিন ছেলেকে খবর দিয়ে আনে। গত মঙ্গলবার রাত ৮ টায় সময় আসাদুল মিলের বাজার থেকে বাড়ি আসার সময় রাস্তায় আসাদুলের স্ত্রী ও তিন ছেলে রাস্তায় গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র, লাঠি দিয়ে শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। নিহতের মা বলেন আমার ছেলেকে পূর্বপরিকল্পনা করে মারধর করা হয় ।
নিহত চাচাতো বোন সাজেদা ও স্থানীয়রা বলেন, আসাদুল আমার জেষ্ঠাত ভাই সন্ধ্যায় ৮টায় সময় চিৎকারের শব্দ শুনে দৌড়িয়ে গিয়ে দেখে তার স্ত্রী ও তিন ছেলে মামুন, সুজন ও শামীম লোহার রড়, লাঠি, দা দিয়ে আমার ভাইকে ধান ক্ষেতে ফেলে এলোপাথারি মারধোর করতে দেখে, আমাদের ডাক চিৎকারে বাড়ি আশাপাশে লোকজন এসে আমার ভাইকে ঘটনা স্থল থেকে উদ্বার করেন ফুলবাড়ীয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক অবস্থায় অবনতি দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রের্ফাড করলে ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে দাপুনিয়া নামক স্থানে মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় ফুলবাড়ীয়া থানা অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ রুকনজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় শুনতে পেয়েছি, কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।