খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:
রংপুরের তারাগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা। গত কাল বুধবার দুপুরে তারাগঞ্জ চৌপথী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের ওপর ট্রাক রেখে চালক ও শ্রমিক নেতারা বিক্ষোভ করেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশে আটকা পড়ে শত শত যান বাহন। সৃষ্টি হয় জন দুর্ভোগের।
পুলিশ ও ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে ট্রাক চালক আতিয়ার রহমান তারাগঞ্জ বাজারে ট্রাকে মালামাল ভর্তি করে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সকাল সাড়ে ৯টায় মহাসড়কের বালাবাড়ী এলাকায় তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের থানার সামনে চেক পোস্টে তাঁর ট্রাক চেকিংয়ের জন্য থামায় পুলিশ। এ সময় কাগজপত্র দেখে ত্রুটি পাওয়ায় হাইওয়ে থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ও সহকারী সার্জন পারভেজ হোসেন চালক আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দেন। চালক আতিয়ারের দাবি, আমার তাঁর সমস্ত কাগজপত্র সঠিক ছিল শুধু ড্রাইভিং লাইসেন্সটি হালকা হওয়ায় এসআই রফিকুল ইসলাম ও সহকারী সার্জন পারভেজ হোসেনের দাবি করা এক হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়ায় তাঁর নামে মামলা দেওয়া হয়। এরপর বেলা ১টার দিকে হাইওয়ে থানা থেকে ট্রাক ফেরত এনে তারাগঞ্জ চৌপথী এলাকায় মহাসড়কের ওপর রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা। তারাগঞ্জ থানা পুলিশ, ও হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলের এসে বেলা দুইটার দিকে মহাসড়ক থেকে নেতা-কর্মীদের সরিয়ে নেন।
ট্রাক চালক আতিয়ার রহমান অভিযোগ করেন বলেন, সকাল সাড়ে ৯টায় তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে পুলিশ সিঙ্গেল দেয়। ট্রাক থামালে তারা আমার কাছে কাগজপত্র চান। আমি কাগজপত্র দেখাই। আমার কাগজপত্রে কোনো ত্রুটি না থাকলেও এসআই রফিকুল ইসলাম ও সার্জন আতিয়ার রহমান আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স হাল্কা এ জন্য এক হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁরা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা দেয়। এ ঘটনা শুধু আজকের নয়, প্রতিদিনের। পুলিশ রাস্তায় দাঁড়াই শুধু টাকা কামাইয়ের ধান্দায়। এটা বন্ধ করতে হবে।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। আমরা চালক, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি শরীফুল ইসলাম বলেন, ওই চালকের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় মামলা দেওয়া হয়। চাঁদা দাবির অভিযোগ সঠিক না। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ করেন।

Leave a Reply