তিস্তা পারের মানুষের বেড়েছে দূর্ভোগ কমেছে পানি

মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।।

লালমনিরহাটে তিস্তা পারের মানুষের দূর্ভোগ বেরেছে কমেছে পানি। তিস্তা নদীতে উজানের পাহাড়ি ঢল আর ৩/৪ দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে নদীর পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো। পানি কমায় ভোগান্তিতে পড়ছে তিস্তাপাড়ের বানভাসি মানুষ। এদিকে জেলার পানি উঠায় ১৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠ দান বন্ধ রয়েছে। শনিবার তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হলেও রোববার বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে লালমনিরহাটের ৫ টি উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। 

পানি কমলেও তা ধীরগতিতে নামছে। নদীপাড়ে অধিকাংশ বাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও বেড়েছে দুর্ভোগ। বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গেছে ঘরবাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র। ভিজে নষ্ট হয়েছে সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্য। এসব সংগ্রহ ও মেরামতে ব্যস্ত পানিবন্দি তিস্তাপাড়ের পরিবারগুলো। টানা দুই/তিন দিনের বন্যায় নদী তীরবর্তী এলাকার বেশ কিছু রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট ভেঙে। উঠতি আমন ধান ও বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ডুবে আছে বন্যার পানিতে। দীর্ঘ সময় ডুবে থাকায় এসব ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। একই সঙ্গে বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে বেশ কিছু পুকুরের মাছ।

গোবর্দ্ধন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত এমদাদুল হক বলেন, বানের পানিতে ঘরের সবকিছু ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। ঘরের বেড়া খুলে পড়ে গেছে। ঘরে বাহিরে কাদা। বসবাসের উপযোগী করতে বেশ সময় লাগবে। আপাতত মেরামত করছি। জীবন তো বাঁচাতে হবে। পরিবারকে তো নিরাপদে রাখতে হবে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার বলেন, তিস্তা নদী ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ কমে গিয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। 

হাসমত উল্লাহ ।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *