ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক
ঝালকাঠির নলছিটি পৌর এলাকার পূর্ব মালিপুর বাইতুস সালাম জামে মসজিদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে মো. মজিবর রহমানকে সভাপতি, আব্দুল মজিদ খানকে সাধারণ সম্পাদক ও মো. কামাল উদ্দীন হাওলাদারকে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হয়। সম্প্রতি মসজিদের মুসল্লিদের বৈঠকে সবসম্মতিক্রমে এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির উপদেষ্টারা হলেন আব্দুস সত্তার হাওলাদার, মো. হানিফ হাওলাদার, মুনছুর আলী হাওলাদার, মো. বাবুল শরীফ, কামাল হাওলাদার, মো. জাহিদ হোসেন, সহিদুল ইসলাম, মো. মোশাররফ হোসেন ও মো. মকবুল হোসেন গাজী। মসজিদ পরিচালনা কমিটিতে আরো রয়েছেন সিনিয়র সভাপতি মো. তোফাজ্জেল হোসেন তালুকদার, সহসভাপতি কে এম আসলাম উদ্দিন, সহসাধারণ সম্পাদক মাসুদ গাজী, সহকোষাধ্যক্ষ মো. শহিদুল হক তালুকদার। পুরাতন কমিটি ভেঙে দেওয়ায় এলাকার মুসল্লিরা খুশ। তাঁরা নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
নলছিটিতে চালের ডিলারের কাছে চাঁদাদাবির অভিযোগ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি \
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক চালের ডিলারের কাছে চাঁদাদাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চালের ডিলার গোপাল বণিক শুক্রবার সকালে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহŸায়ক ও সদস্যসচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে তিনি দাবি করেন, ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ষাইটপাকিয়া বাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় তাকে চালের ডিলার নিয়োগ করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরে স্থানীয় যুবদলের নেতা পরিচয় দিয়ে রকি, সোহেল মেকার, এনায়েত ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শহিদ খান তাদের বাড়িতে যায়। এসময় তাঁরা চালের ডিলারশীপ তাদের নামে লিখে দিতে চাপ দেয়। লিখে না দিলে বিপদে পড়তে হবে বলেও তাঁরা হুমকি দিয়ে আসে। পরে তাঁরা গত ৯ সেপ্টেম্বর ভৈরবপাশা বাজারে তাঁর বড়ভাই বিমল বণিকের দোকানে গিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা কামরুল বাসার আক্কাস, বশির ও কবির হোসেন চালের ব্যবসার অর্ধেক টাকা প্রতিবার বিতরণকালে তাদের দিতে হবে বলে জানান। অন্যথায় ডিলারশীপ বাতিল করে দেওয়ার হুমকি দেন। এ অবস্থায় তিনি নিরুপায় হয়ে পড়েছেন। তাই জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন বলেন, এ ধরণের কোন ঘটনাই ঘটেনি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমি স্পস্ট করে বলে দিয়েছি, যে যার ব্যবসা সেইভাবে করবে। এখন কোন সমস্যা নেই। গোপাল বণিক তাঁর ডিলারশীপ নিজেই পরিচালনা করবেন, কেউ বাঁধা দিবে না।
Leave a Reply