সেনবাগে ৫ সহস্রাধিক বন্যার্তের পাশে বিরতিহীন ভাবে ত্রাণ ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন সেচ্ছাসেবী আলাউদ্দিন আলো

রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর সেনবাগে স্মরণকালের ভয়াবহ দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় গত ২০ আগস্ট থেকে অধ্যবদি পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ৫ হাজারের ও অধিক বন্যাদূর্গত মানুষকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ,২৫ টি আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খাবার পরিবেশন, নগদ অর্থ প্রদান ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ,বিভিন্ন পেশার ৩ হাজার ৯ শত ৮৫ টি মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী – শুকনা খাবার বিতরণ, ঔষধ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করে ইতিমধ্যেই সেনবাগের সর্বমহলে প্রশংসায় ভাসছেন মায়া হাসপাতালের কর্ণধার ও বিশিষ্ট সমাজসেবক, সাংবাদিক মো: আলাউদ্দিন আলো।এক বুক সমান বন্যার পানিতে নিজের সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে মো: আলাউদ্দিন আলো বহু পানিবন্ধী পরিবারকে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। অনেক পরিবারকে থাকতে দিয়েছেন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মায়া হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেনবাগ পৌরসভার বাসিন্দা আলাউদ্দিন আলো শুধু পৌর এলাকায় নয়, তার ত্রাণ,খাদ্য,ঔষধ ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন সেনবাগের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলগুলোতে।অনেক সমাজসেবক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন ২-৪ দিন পর তাদের সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দিলেও আলাউদ্দিন আলো বিরতিহীন ভাবে অদ্যবধি পর্যন্ত চলমান রেখেছেন তার সেবামূলক এ কার্যক্রম।উল্লেখ্য বিগত দিনে করোনা কালীন সময়ে ও আলাউদ্দিন আলো তার সেচ্ছাসেবী ভাইদের নিয়ে করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের লাশ দাফন, চিকিৎসা সেবা প্রদান, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে ব্যতিক্রমী এক দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছিলেন।আলাউদ্দিন আলো সুদীর্ঘ ১ যুগের ও বেশি সময় যাবত সেনবাগে বিভিন্ন ধরনের সেবামুলক কার্যক্রম করে গণমানুষের অন্তরে একজন নি:স্বার্থ সমাজসেবক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সমাজসেবক মো: আলাউদ্দিন আলো গণমাধ্যমকে জানান,আমি বাহবা পাওয়ার জন্য নয়, মুলত একজন সামাজিক মানুষ হিসেবে আমার বিবেকের তাড়নায়,নিজ দায়িত্ব কর্তব্য মনে করে এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম গুলো করি। আমি আপনাদের মাধ্যমে সেনবাগবাসীর দোয়া চাই, যতদিন বেঁচে থাকি,দল- মতের উর্দ্ধে থেকে আল্লাহ যেন আমাকে মানুষের কল্যানে সেবা করার তৌওফিক দান করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *