এস মিজানুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি: বানারীপাড়ায় ভাসমান সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা। উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল বিশারকান্দি ও ইলুহার ইউনিয়ন। এক সময় এ এলাকার জনবসতিদের আয়ের উৎস ছিল কৃষি। এখান থেকে বিভিন্ন লঞ্চে হাটবার কাঁচা তরকারী দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন হতো। আধুনিক যোগাযোগ হওয়ায় এখন ট্রাক, ট্রলি, পিকআপ, ট্রলার এবং ছোট নৌকায় বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। বৈঠাকাটা ও চৌমহনা মোকাম থেকে। এখানে লঞ্চ এখন দেখা মিলেনা।
এই এলাকায় প্রতিবছর বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন সবজির ফলন কৃষকরা ফলিয়ে থাকে। এ বছর বিভিন্ন ভাসমান ঢুপে কৃষকরা সবজির
বীজতলা বিভিন্ন ভাবে তৈরী করে বীজ রোপন করছে। এ ব্যপারে পদ্মবুনিয়া গ্রামের কৃষক আ: রহিম জানান, প্রতি বছরই ভাসমান ঢুপ সাছিয়ে রাখতে হয় এবং সুবিধামত সময়ে( শ্রাবণ মাসে) বীজ বপন করতে হয়। কৃষক আলী হাওলাদার জানান, আগের চেয়ে চলতি মৌসুমে অনেকটা নাব্যতা কমে গেছে। যার কারনে ঢুপ সাজাতে আগেরমতো কষ্ট হয়না। সহজেই ঢুপ করা যায়। এখানে সব মৌসুমেই যে ফলন হয় তা বাজারজাত করা হয়। তবে দাম পাওয়া যায়না কিন্তু শহরে অনেক দাম।
বিশারকান্দির ভাসমান ফষলের বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাফুজুর রহমান জানান, বিশারকান্দির ভাসমান কৃষিটিকে “খরিপ-০২” কৃষি। এখানের কৃষকরা জীববৈচিত্র্যের সাথে তাল মিলিয়ে কৃষিকাজ করে। এলাকার বিশেষ করে বিশারকান্দি এবং ইলুহার ইউনিয়নে ভাসমান কৃষি কাজটি হয়ে থাকে। উপজেলার এ অঞ্চলে ৯০ হেক্টর এলাকায় ভাসমান কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকে।।#

Leave a Reply