July 3, 2025, 4:28 am
আনোয়ার হোসেন,
স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর)প্রতিনিধি//
পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেলেন বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার গ্রামের ৬জন ষড়যন্ত্রকারী। বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার গ্রামের হাসান(৩৭),আল আমিন(৪০),রহিম তালুকদার(৪৫),সফিকুল ইসলাম(২৮)আবুল হোসেন (২৫)ও মো. শাহীন(২৫) মিলে তাদের প্রতিপক্ষ একই এলাকার বাসিন্দা স্বজন মো. সিদ্দিক তালুকদারকে মারধর করে কোমরে ৯০ পীচ ইয়াবা ট্যাবলেট ভর্তি কৌটা গুজে দিয়ে স্বরূপকাঠি থানার পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। শুক্রবার রাতে স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার জরুর বাড়ী বাজারে ওই ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ মো. হাসান (৩৭) নামে একজনকে ও ঘটনার শিকার ছিদ্দিক তালুকদারকে থানায় নিয়ে যায়। পরে আসল তথ্য পেয়ে পুলিশ হাসানকে গ্রেফতার করে এবং অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযানে নামার আগেই তারা অত্মগোপন করে। শনিবার থানায় এস আই মো. গোলাম হাফেজ বাদী হয়ে ৬ জনকে নামীয় ও আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। হাসানকে আদালতে ও ইয়াবা ট্যাবলেটের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
এজাহার ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার গ্রামের ছিদ্দিক তালুকদারের সাথে তার ভাইয়ের ছেলে হাসান সহ অপরাপর আসামীদের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকর্দ্দমা চলে আসছে। বিভিন্ন মামলায় ছিদ্দিক তালুকদার জয়ী হলেও তারা একের পর এক মামলা দিয়ে আসছিলো। সেকারনে ছিদ্দিক তুলুকদারকে মাদক মামলায় ফাঁসাতে এ নাটক সাজিয়েছে বলে গ্রেফতারকৃত হাসান পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
ছিদ্দিক তালুকদার জানান, দীর্ঘ ৮/১০ বছর ধরে তার ভাইয়ের ছেলে হাসানসহ অপরাপর আসামী চাচাত ও ফুফাত ভাইদের সাথে জমিজমাকে কেন্দ্র করে মামলা চলে আসছিল। ঘটনার সময় আমি আমার দোকান বন্ধ করে বাড়ী যাচ্ছিলাম। এসময় অসামীরা আমাকে রাস্তা থেকে জোর করে অটোরিকসায় তুলে নিয়ে বেদম মারপিট করে এবং আমার কোমরে ইয়াবা সহ একটি কৌটা গুজে দিয়ে বানারীপাড়া এলাকা থেকে স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) থানা এলাকার জরুরবাড়ী বাজারে নিয়েযায়। সেখানে ডাক চিৎকার দিয়ে আমার কোমরে গুজে দেওয়া কৌটা বের করে বলে ইয়াবা বিক্রেতা ধরেছি। ওই কৌটার মধ্যে ৯০ পীচ ইয়াবা ট্যাবলেট ছিল। তারা স্বরূপকাঠি থানার পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ আমাকে ও ঘটনার হোতা হাসানকে থানায় নিয়ে আসে। পরে মূল ঘটনা থানার ওসি সাহেবকে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক তদন্ত করে হাসানকে গ্রেফতার করেন অন্যান্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা করেন।
নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার সাংবাদিকদের জানান, রাতে যখন ওদেরকে থানায় নিয়ে আাসে তখন ছিদ্দিক তালুকদার জানায় তাকে ফাঁনোর চেষ্টা হচ্ছে। তখন রাত অনেক তাই দুজনকেই আটক রেখে সকালে খোজবর নেওয়া হবে বলে বাসায় যাই। সকালেই জানতে পারি ছিদ্দিক তালুকদারের সাথে তার ভাইর ছেলে অন্যান্য চাচাত ফুফাতো ভাইদের সাথে মামলা মোকর্দ্দমা রয়েছে। পরে এলাকায় তদন্ত করিয়ে জানতে পারি ছিদ্দিক তালুকদারকে ফাঁসাতে এনাটক তৈরি করা হয়েছে। তাই হাসানকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত ইয়াবার নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান জব্দকৃত ইয়াবার মূল্য ২৭ হাজার টাকার উর্ধে হবে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যহত আছে।