ময়মনসিংহে বাসার পেছন থেকে প্রেমিকের ম*রদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ, মাসহ প্রেমিকা আটক

স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহে প্রেমিকার বাসার পেছন থেকে প্রেমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । তার গলায় প্যাঁচানো ছিল প্যান্টের বেল্ট। এতে তার মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিকা ও তার মাকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাতে ময়মনসিংহ সদরের চুরখাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আশিকুর রহমান লিখন ওই এলাকায় ডিশ লাইন শ্রমিক ছিলেন।

স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, ময়মনসিংহ সদরের চুরখাই এলাকায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লিখন আত্মহত্যা করেছে বলে স্বজনদের খবর দেয় প্রেমিকা। খবর পেয়ে স্বজনরা ছুটে গিয়ে মেয়েটির ঘরের পেছনে লিখনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এসময় তার গলায় প্যান্টের বেল্ট প্যাঁচানো ছিল।

নিহতের ভাই নেয়ামত আলী জানান, ঘটনার দিন রাতে খাওয়া দাওয়া করে লিখন বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে মধ্যরাতে লিখনের প্রেমিকা তার বাড়িতে খবর দেয়। সে বলে, আপনাদের ছেলেকে আমার বাড়ির পিছনের ধান ক্ষেত থেকে নিয়ে যান। এমন খবরে লিখনের স্বজনরা প্রেমিকার জানালার পাশে ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে লিখন মারা যান। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

তবে প্রেমিকা জানায়, রাত ১১টার দিকে দেয়াল টপকে তার শোবার ঘরের কাছে আসে লিখন। এসময় লিখন তাকে বিয়ের কথা বললে সে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে বেল্ট প্যাঁচিয়ে ঝুলে পড়েন। কিছুক্ষণ পর লিখনের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দা দিয়ে বেল্টটি কেটে দেয় এবং তার পরিবারকে মোবাইলে বিষয়টি জানায় মেয়েটির পরিবার।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে বলা যাবে। তবে এই ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্ত করে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিকা ও তার মাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *