মোংলায় টাকা দিয়ে জমি কিনে বিপাকে পড়েছে কয়েক ব্যক্তি

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলায় টাকা দিয়ে বৈধভাবে জমি কিনে বিপাকে পড়েছেন কয়েকজন ক্রেতা ব্যক্তি। পূর্বের মালিক জমি বিক্রি করার পরও ক্রেতাদের এখন বিভিন্ন হুমকি ধামকিসহ আদালতে মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ইতিপূর্বে শালিস বৈঠক হলেও বিষয়টির কোন সুরাহা হয়নি।

অভিযোগে জানা গেছে, মোংলার সিগনাল টাওয়ার এলাকার বাসিন্দা রেনুয়ারা বেগম ও তার মেয়ে নাসরুম আহমেদ মাম্মি গত বছরের ২৮ডিসেম্বর মোংলার বুড়িরডাঙ্গা ও কাপালির মাঠের মৌজা থেকে তাদের নামে থাকা ১দশমিক ২৫একর জমি সারাফাত হোসেন সাকিল ও মাহমুদ হাসানের নামে টাকার বিনিময়ে অপ্রত্যাহারযোগ্য আমমোক্তার নামের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি করে দেয়। এরপর মাহমুদ হাসান তার জমির অংশ থেকে রেজাউল ইসলাম আলম সাড়ে ৫শতক, গাউছ ফকির ৫১শতক, বাবুল ৩শতক ও সেলিম মোল্লা সাড়ে ৫শতক করে মোট ৬৫ শতক জমি ৪জনের কাছে নগদ টাকায় বিক্রি বাবদ রেজিষ্ট্রি করে দেয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, জমি রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার কয়েক মাস পরে রেনুয়ারা বেগম গত ৯জুন বাগেরহাট যুগ্ম জেলা জজ আদালত-০২ এ অপ্রত্যাহারযোগ্য আমমোক্তারনামা বাতিল চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যে মামলায় অন্যান্যদের সাথে সর্বশেষ জমির ক্রেতা রেজাউল ইসলাম আলম ও গাউছ ফকিরকেও বিবাদী করা হয়েছে।

জমির ক্রেতা মোংলা শহরতলীর রাজ্জাক সড়কের বাসিন্দা ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম আলম অভিযোগ করে বলেন, উক্ত জমি বিক্রি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয়ভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ইতিপূর্বে শালিস বৈঠক হয়। ওই শালিসের সিদ্ধান্ত প্রথমে রেনুয়ারা মেনে নিলেও পরে তা উপেক্ষা করে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতে তাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। এছাড়া এ জমিকে কেন্দ্র করে রেনুয়ারাসহ তার সহযোগীরা প্রতিনিয়ত তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোসহ নানাভাবে হুমকি ধামকিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। আর এ কারণে এ জমির ক্রেতারা এখন টাকা দিয়ে জমি কেনার পরও প্রাণ নাশের আশংকায় শংকিত হয়ে পড়েছে।

জমি বিক্রেতা রেনুয়ারা বেগম বলেন, মুলত মামলার অভিযুক্তরাই পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে নিয়ে এখন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *