September 16, 2024, 6:54 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
অতি বর্ষনে শার্শার দক্ষিনাঞ্চল প্লাবিত, ধানসহ তরি তরকারি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি নওগাঁয় অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বিস্ফোরক ব্যবসায়ী আটক ফুলবাড়ীয়া জমি দখল নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন দিদারুলের পরিবার ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন সদস্য’র মৃত্যু সুজানগর পৌরসভার আয়োজনে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী(সা.)উদযাপন সুজানগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী(সা.)উদযাপন র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানি সিরাজগঞ্জ এর পৃথক তিনটি অভিযানে ৫ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নড়াইলে পুলিশের অভিযানে দুই সহোদর হত্যা মামলার তিনজন গ্রেফতার ধামইরহাটের প্রতিপক্ষের রাসায়নিক বিষ প্রয়োগে ধান ক্ষেত নষ্ট বজ্রাপাত থেকে বাঁচতে তালগাছ রোপন
সুজানগরের পদ্মায় তীব্র ভাঙন, বিলীন হচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি

সুজানগরের পদ্মায় তীব্র ভাঙন, বিলীন হচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি

এম এ আলিম রিপন ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলায় পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকা ও চরা লে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে উপজেলার ভায়না,সাতবাড়িয়া,মানিকহাট,নাজিরগঞ্জ ও সাগরকান্দি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। নদীর পানি বৃদ্ধি ও পানি কমতি এবং পদ্মা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালি উত্তোলন নদী ভাঙনের অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নদীপাড়ের বাসিন্দারা। উপজেলার সাতবাড়িয়া অ ল থেকে শুরু করে নদীর পশ্চিম ও পূর্ব দিকের কয়েকটি গ্রামের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে নদী ভাঙনে প্রতিদিন বিলিন হয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা চাষযোগ্য কৃষি জমি। এ কারণে নদী পাড়ের জমিতে আবাদকৃত অপরিপক্ক চিনাবাদাম ও তিল উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা। চর সুজানগর গ্রামের কৃষক মোতাহার আলী জানান, সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় কৃষকেরা চিনাবাদাম ও তিলের আবাদ করেছিলেন। কিন্তু আকস্মিক নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে অনেক ফসল পনির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া চরে ভাঙনের ফলে উঁচ জমিতে লাগানো তিল ও চিনাবাদাম ফসলের ক্ষেত ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীর বুকে। নদী ভাঙনে ফসলি জমি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। ভাঙনে সর্বস্ব হারানো পরিবারগুলোর মাঝে বিরাজ করছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। স্থানীয় সাতবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আম্বিয়া খাতুন জানান, প্রতিনিয়ত ভাঙনের কারণে নিঃস্ব হচ্ছেন তারা। যেভাবে ভাঙছে এতে বসতবাড়ি নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে পদ্মাপারের বাসিন্দাদের। সময় থাকতে এই নদী ভাঙন ঠেকাতে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে হারিয়ে যাবে তাদের মাথা গোঁজার শেষ ঠিকানা। কৃষকেরা জানান, ভাঙন প্রতিরোধে সরকারি কোন ব্যবস্থা না থাকায় চরম আতঙ্কের মধ্যে পড়েছে নদীর পারের মানুষ। এ থেকে তারা পরিত্রাণ চায়। তাই তাদের দাবি আশ^াস নয় নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের। এদিকে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির,উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড(বাপাউবো) পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, ভাঙন রোধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD