কালীগঞ্জে মাঠে মাঠে ইরি ধানের শীষে ভরপুর

মো.হাসসত উল্লাহ,লালমনিরহাট।।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার মাঠে মাঠে ইরি-বোরো ধানের শীষে ভরপুর। যেদিকেই চোখ যায় যেন এক অপরূপ সমারোহ। ইরি-বোরো ফসলের মাঠে বাতাসের দোলা খাচ্ছে ধানের শীষ। যেদিকে চোখ যায় সবুজে সমারোহ। তা দেখে খুশিতে কৃষকের মনে দোলা দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করলেও তারা শংকিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি, তীব্র রৌদের দাপদাহে ধানে চিটা পড়া এবং কামলা সংকট হবে কিনা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের দোলা,খাল,বিল ও বাড়ির অস্সা জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এবার ইরিবোরো আবাদে সেচ সংকটে না পরায় ধান গাছে তেমন কোন রোগবালাই আক্রান্ত হয়নি। গত কয়েক বছরের মধ্যে সুন্দর তেজ সেই ধানের গাছ ভাল রাখতে ও ধানের উৎপাদন বাড়াতে এবং তীব্র তাপদাহ থেকে ধানের গাছ ও শীষ রক্ষা করতে কৃষকরা উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও দিক নিদের্শনায় সার্বক্ষণিক কীটনাশক প্রয়োগ ও পরিচর্যা করায় এখন ধান গাছে বড়বড় শীষ বের হয়ে খাচ্ছে বাতাসের দোলা। আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে তারা। সতিরপাড় বুড়িরহাট গ্রামের কৃষক মফিজুল ইসলাম, চলবলা সোনারহাট গ্রামের কৃষক ছাইফুল ইসলাম,উত্তর দলগ্রাম আরিডোবা গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান, আব্দুস ছালামসহ  অনেক বলেন বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তবে তাদের মনে সর্বদা প্রাকৃতিক দুর্যোগ কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আতংক বিরাজ করছে। এছাড়া ধান কাটা মাড়াইয়ের শ্রমিক সংকটেরও আশংকাও রয়েছে তাদের। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তুষার কান্তি রায় জানান, ধান খেতে তাপদাহ মোকাবিলা করতে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। চলতি ইরি- বোরো খেতে রোগবালাই নেই বললেই চলে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

হাসমত উল্লাহ 

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *