রাঙ্গাবালীতে ভেসে এলো যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংসকারী সাবমেরিন টর্পেডো

রফিকুল ইসলাম,
বাংলাদেশে ভেসে এলো যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংসকারী সাবমেরিন টর্পেডো। বঙ্গোপসাগর ঘেষা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর একটি নদীতে এটির দেখা মেলে। অবিস্ফোরিত এ টর্পেডো উদ্ধারের তৎপরতা চালাচ্ছে কোস্টগার্ড ও পুলিশ। আনা হচ্ছে নৌ বাহিনীর সদস্যদের।

রোববার দুপুরে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর রামনাবাদ নদীতে ভেসে আসে যুদ্ধে ব্যবহৃত সাবমেরিন টর্পেডো। ভাসমান টর্পেডোটিকে চিনতে না পেরে স্থানীর শিশু কিশোররা জোয়ারের পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে আসেন মৌডুবীর কাটাখালী ভাঙার খালের মধ্যে।

এরপর স্থানীয়রা এটিকে দেখতে জড়ো হন খাল পারে। কেউ এটিকে যুদ্ধে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র মিসাইল বলে আবার কেউ টর্পেডো বলে ধারনা করেন। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে এর ছবি ও ভিডিও। আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে তৈরী পুরো এলাকায়। এক নজর দেখতে ছুটে আসেন হাজারো মানুষ।

এদিকে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে
বিধ্বংসী এই টর্পেডোকে দ্রুত সময়ের সরিয়ে নেয়ার দাবী স্থানীয়দের।

রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেলাল উদ্দিন জানান, ভেসে আসা বস্তুটি যুদ্ধ জাহাজ ও সমুদ্রের তলদেশে সাবমেরিন ধ্বংসকারী টর্পেডো। এটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় রয়েছে। তাই নিরাপত্তার সাথে উদ্ধারের জন্য কোস্টগার্ড ও নৌ বাহিনীকে খবর দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কোস্টগার্ড ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। নৌ বাহিনীর সদস্যরা এলে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হব।

টর্পেডো হচ্ছে এক ধরনের স্ব-চালিত অস্ত্র, যা জলের নিচে বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহন করে এবং লক্ষবস্তুর সংস্পর্শে বা কাছাকাছি আসার পর বিস্ফোরিত হয়। এটি জলের নিচে চালিত হয় এবং জলের নিচে বা উপরে উভয় স্থান হতে নিক্ষেপ করা যায়। এছাড়া এগুলোকে বিভিন্ন প্রকারের উৎক্ষেপকের দ্বারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নিক্ষেপ করা সম্ভব।
মূলত সাবমেরিন ও যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংসের জন্য টর্পেডোকে ব্যবহার করা করা হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *