মধুপুরে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ী ভাঙচুর করা হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চার রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে দু’পক্ষকেই ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বাসস্ট্যান্ড এলাকার সাধারণ মানুষকেও আতঙ্কিত হয়ে এদিক সেদিক ছুটোছুটি করতে দেখা যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। কয়েক দফা সংঘর্ষ ও হামলা মামলার ঘটনা ঘটে। এর ধারাবাহিকতায় উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান প্রকাশ্যে আসে।

মধুপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছারোয়ার আলম খান আবু খান বলেন, ‘সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের লোকজন আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রচারণায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছয়জনকে আহত করে। পরে আমার সমর্থকরা সংগঠিত হয়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর তারা পুলিশ পাহারায় এসে আমাদের নির্বাচনি অফিস, বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে। আমার আহত সমর্থকরা এখন ঘাটাইলের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘ড. আব্দুর রাজ্জাকের সরাসরি নির্দেশে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে।’

এ বিষয়ে সাবেক মন্ত্রী সমর্থক মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জুবায়ের হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসাইন। এ ছাড়াও মধুপুর থানা পুলিশের চৌকস দল সেখানে উপস্থিত ছিল।

মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন আবু খা ও মধুপুর পোরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেনের পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার খবর পেয় পুলিশ চার রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আহত ও ভাঙচুরের বিষয়ে কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি।

হাফিজুর রহমান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *