December 26, 2024, 11:18 pm
এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
নাগেশ্বরীতে গাগলা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম (আবির)’র কর্তৃক গাগলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের গোপালপুর (খামারটারী) গ্রামের হতদরিদ্র বুদা শেখের সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যা গত ২জুন দিবাগত রাত আনুমানিক ১টায় একা বাথরুমে যাওয়ার পথে ওঁ পেতে থাকা পার্শ্ববর্তী আরিফুল ইসলাম (আবির) মুখ চেপে ধরে পাট ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরদিন রবিবার আরিফুল ইসলাম (আবির) এর পিতাসহ কয়েকজন বুদা শেখের স্ত্রী ও তার ধর্ষিত কন্যাকে বেদম মারপিট করেন।
গাগলা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম (আবির) নাগেশ্বরী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কুটি বাগডাঙ্গা গ্রামের প্রভাবশালী ইব্রাহীম আলীর পুত্র বলে জানা গেছে।
সোমবার বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধি গোপালপুর (খামারটারী) গ্রামের বুদা শেখের বাড়িতে গিয়ে উক্ত বিষয়ে তথ্য ও প্রমাণ নিয়ে আসেন।
এমতাবস্থায় বাগডাঙ্গা গ্রামের বাবলু নামের এক যুবকের নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার নাগেশ্বরী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম ইসরাইল এর সভাপতিত্বে মাত্র ৫৫হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মাতা মনোয়ারা বেগম ও নানী শাহেরা বেগম ধর্ষণের ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের মেয়ে কে পাটক্ষেতে ধর্ষণ করে আবির পালিয়ে যায়। আমরা বিচার থেকে বঞ্চিত। প্রভাবশালী মহল মাত্র ৫৫হাজার টাকা দিয়ে ফাকা স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়েছে।
মেয়ে পক্ষের দালাল বাবলু এ প্রতিনিধি কে মোবাইল ফোনে মামলার হুমকি দিয়ে বলেন বিষয়টি ৫৫হাজার টাকা নিয়ে আপোষ হয়েছি। আমাদেরও বড় সাংবাদিক আছে। আপনাকে দেখে নিবো।
ইব্রাহীম আলীর ছোট ভাই আব্দুল হামিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে জালাল উদ্দিনের বাড়িতে কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম ইসরাইল ও মেয়ে পক্ষের বাবলু এবং স্থানীয় কিছু লোক বসে বিষয়টি মেয়ের মায়ের হাতে ৫৫হাজার টাকা দিয়ে স্টাম্পে মেয়ে ও তার মায়ের স্বাক্ষর নিয়ে আপোষ হয়েছি।
নাগেশ্বরী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম ইসরাইল বলেন, গতকাল (৭জুন) আমার মাধ্যমে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে বিষয়টি ৫৫হাজার টাকায় আপোষ করা হয়।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ নবিউল হাসান বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।