May 22, 2024, 2:20 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ৫৬ ধারার প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে.প্রধান অতিথি সিএমপি কমিশনার আগৈলঝাড়ার রাজিহার ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাতের নির্বাচনী জনসভায় মানুষের ঢল নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ বাস্তবায়নে ভালুকায় ওসির নেতৃত্বে পুলিশের মনিটরিং জোরদার বানারীপাড়ায় উপজেলা নির্বাচনে ফুটবল মার্কা নিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে মিনু সুজানগরে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হলেন তেঁতুলিয়ার এসিল্যান্ড মাহবুবুল হাসান ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আহত ২১ গোদাগাড়ীতে ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার স্থাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন উপজেলা চেয়ারম্যান ময়নাকে গণসংবর্ধনা আশুলিয়ায় সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা-কুপিয়ে এক যুবক আহত ও নারীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ
পাইকগাছায় আমের মুকুলে গুটি না হওয়ায় আমচাষী ও বাগান মালিকরা হতাশ

পাইকগাছায় আমের মুকুলে গুটি না হওয়ায় আমচাষী ও বাগান মালিকরা হতাশ

ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।।
পাইকগাছায় আম গাছে মুকুলে গুটি না হওয়ায় আমচাষী ও বাগান মালিকরা হতাশ। আমের গুটি বিহিন গাছ দেখলে মনে হবে ঝলসে গেছে।গাছে আম ছাড়া ন্যাড়া শিস দেখা যাচ্ছে। গাছে আমের গুটি না ধরায় আমচাষি, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
পাইকগাছাসহ উপকুল এলাকায় চলতি বছর অনেক দেরিতে আম গাছে মুকুল বের হয়েছে। অধিকাংশ গাছের মুকুল ছোট ও চিকন হয়। কোন গাছের একটি দুইটি ডালে মুকুল বের হয়েছে আর বাকী ডালের পল্লবে মুকুল হয়নি। অনেক গাছে কোন মুকুলই বের হয়নি। তবে কিছু কিছু গাছে প্রচুর পরিমান মুকুল বের হয়েছে।কোন কোন গাছে গুটি ধরার পরে ঝরে পড়েছে। তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে আমের মুকুল দেরিতে বের হওয়ায় আমের গুটি আশনারুপ হয়নি বলে কৃষি অফিস জানান।আম বাগানে বিনিয়োগকৃত টাকা ফিরে পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এমন পরিস্থিতে আমচাষি, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
পাইকগাছার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলী ও পৌরসভা ছাড়া বাকি ইউয়িনগুলোতে সীমিত আমের গাছ রয়েছে। উপজেলায় ৫শত ৮৫ হেক্টর জমিতে মোট আম গাছ রয়েছে। গাছের সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। কিছু কিছু পরিকল্পিত আম বাগান রয়েছে।এবছর নাবিতে গাছে মুকুল ধরেছ। অধিকাংশ গাছের মুকুল ছোট ও চিকন হয়েছে। কোন গাছের একটি দুইটি ডালে মুকুল বের হয়েছে আর বাকী ডালের পল্লবে মুকুল হয়নি। অনেক গাছে কোন মুকুলই বের হয়নি। ৪০ ভাগ আম গাছে নাবিতে মুকুল বের হয় আর এসকল গাছে কোন গুটি ধরেনি। তবে আগাম কিছু গাছে মুকুল ভালো বের হয় সে সব গাছে আমের গুটিও ভালো হযেছে। তবে তার পরিমান খুবই সিমিত।
উপজেলার কপিলমুনি,গদাইপুর, হরিঢালী, রাড়ুলী, পৌরসভা, চাঁদখালীসহ বিভিন্ন এলাকা আম বাগানের গাছে মুকুল ভালো হয়নি সে কারণে আমের গুটিও হযনি। আম বাগান ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। গদাইপুরের আম চাষি মোবারক ঢালী বলেন, বাগানের আম গাছে মুকুলে তেমন গুটি ধরেনি। আমের মুকুলে গুটি না ধরায় তিনি হতাশ।ধার করে বাগান কেনা টাকা ফিরে পাবেনা বলে মহা বিপাকে পড়েছেন। হরিঢালীর আকবর হোসেন, তকিয়ার মুজিবর গাজীসহ বিভিন্ন এলাকার আম ব্যবসায়ীরা জানান, ঋণ করে আগাম আম বাগান নিয়েছে। অনেক চাষী আম বিক্রি ঋণের টাকা পরিশোধ করবে। গাছে আশানারুপ মুকুল বের না হওয়ায় গুটি ধরেনি্ এতে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে এমন আশাংকায় হতাশ হয়ে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ জানান, শেষের দিকে কয়েক দিনের ঘন কুয়াশার কারণে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাইকগাছায় নাবি করে গাছে মুকুল এসেছিলো, নাবিতে আসা মুকুল পুস্ট হযনি, সে কারণে অনেক গাছে গুটি ধরেনি তবে আগাম মুকুল বের হওয়া গাছে আমের গুটি ভালো ধরেছে। আমের গুটি আশানারুপ না ধরায় উপজেলায আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হবেনা আর চাষিরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে তিনি জানান।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD