মোংলায় ১৭৫ মেট্রিক টন চাউল নিয়ে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে চাল উত্তোলনের শুরু

মোংলা প্রতিনিধি।

মোংলার পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড জাহাজ থেকে চাল উত্তোলনের কাজ চলছে। সোমবার সকাল থেকে চাল তোলার কাজ শুরু করে বাল্কহেড মালিক পক্ষ। সোমবার সকালে ১০টি গ্রুপের প্রায় ৬০ জন ডুবুরি দিয়ে প্রাথমিকভাবে চাল উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলন করা চাল ডুবন্ত বাল্কহেডের পাশে থাকা কয়েকটি ট্রলারে রাখা হচ্ছে এবং পরে তা কূলে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন মোংলা শাখার সহসভাপতি মাঈনুল ইসলাম মিন্টু। রবিবার ১৭৫ মেট্রিক টন সরকারি চাল নিয়ে এমভি সাফিয়া নামের একটি বাল্কহেড জাহাজ ডুবে যায় মোংলা ও পশুর নদীর ত্রিমোহনায়। এদিন খুলনা থেকে ছেড়ে এমভি সাফিয়া বাল্কহেডটি মোংলা বন্দরের পশুর নদী ও মোংলা নদীর ত্রিমোহনায় পৌঁছলে এমভি শাহজাদা-৬ নামের অপর একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় বাল্কহেডটি। তবে এতে কোনো হতাহত বা নিখোঁজের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ।
এদিকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় এমভি শাহজাদা-৬ কার্গো জাহাজটিকে রবিবার সন্ধ্যায় আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছন নৌ পুলিশ কর্মকর্তা এসআই সৈয়দ ফখরুল ইসলাম। সৈয়দ ফখরুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে গরিব অসহায়দের জন্য গতকাল রবিবার সকালে খুলনার সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ছয় হাজার বস্তার ১৭৫ মেট্রিক টন চাল নিয়ে মোংলার খাদ্য গুদামের উদ্দেশে যাচ্ছিল এমভি সাফিয়া নামের বাল্কহেড জাহাজটি। এরপর বাল্কহেডটি দুপুরের দিকে মোংলা বন্দরের পশুর নদী ও মোংলা নদীর ত্রিমোহনায় পৌঁছলে পেছন থেকে এমভি শাহাজাদা-৬ নামের অন্য একটি কার্গো জাহাজ ধাক্কা দেয়। এতে চালের বস্তাগুলো নিয়ে ডুবে যায় বাল্কহেড জাহাজটি। তবে এ সময় বাল্কহেড জাহাজে থাকা ৫ স্টাফ-কর্মচারী সাঁতরিয়ে কূলে উঠে প্রাণে বেঁচে যান। এ ঘটনায় এমভি শাহজাদা-৬ নামের কার্গো জাহাজটিকে বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী নৌ ক্যানেল থেকে রবিবার সন্ধ্যার পর আটক করা হয়েছে বলেও জানান মোংলা নৌ পুলিশের কর্মকর্তা সৈয়দ ফখরুল ইসলাম।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *