আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
আগামী ১১ই মে দ্বিতীয় দাপে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ময়মনসিংহ সদর ও মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এই উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নেতাকর্মীরাও সক্রিয় রাজনীতির মাঠে। দল ও দলের বাইরে সবাইকে এক করে মাঠে আনার প্রচষ্টা যেমন প্রার্থীদের, তেমনই দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটাররাও চান ভালো মানুষ আসুক আগামীর নেতৃত্বে। ময়মনসিংহ সদর উপজেলাবাসীর চাওয়া এমনই একজন ভালো মানুষ বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফ হোসাইন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সদস্য। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে যিনি দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈচার বিরোধী আন্দোলনসহ বিএনপি জামাতে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিটি আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। যিনি প্রকৃত অর্থেই আপাদমস্তক একজন ভালো মানুষ বলে প্রতীয়মান সদরবাসীর কাছে। তাদের ভাষ্য মতে, উপজেলা চেয়ারম্যান ( আশরাফ হোসাইন ) এর মতো পরোপকারী মানুষ এই ময়মনসিংহ ( সদর ) অঞ্চলে বিরল। খালি হাতে কেউ কখনও ফিরে আসেনি। তিনি ভিন্ন মতাদর্শের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেও বলে জানান অনেকে। সদর উপজেলাবাসীর মাঝে আপনাকে নিয়ে এতো ইতিবাচক মনোভাব, যা বর্তমান সময়ের অনেক ডাকসাইটের রাজনৈতিকের মাঝেও অনুপস্থিত । এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিবেদককে তিনি বিনয়ের সঙ্গে বলেন, জবীনটা খুব বড় নই, মানুষের জন্য কিছু করতে পারার মাঝে যে আনন্দ আছে, তা অন্য কিছুতে নেই।
আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আপনার মাধ্যমে সকলকে অবহিত করতে চাই- ব্যক্তিস্বার্থে রাজনীতি করি না, সাধারণ মানুষ ও রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরপরই উপজেলার কৃষি খাত, পানি সরবরাহ, শিক্ষা, মানব সম্পাদ উন্নয়ন, কুঠির শিল্প, হাট বাজারের উন্নয়ন, স্বাস্থ্য খাত, সামাজিক নিরাপত্তা, সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিবহন ও যোগাযোগ খাত এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক খাতের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করার চেষ্টা করেছি। সত্যি বলতে, আমার কোন চাওয়া পাওয়া নেই। আমার চাওয়া শুধু এই জনপদের ( উপজেলাবাসীর ) মানুষের কিসে মঙ্গল নিহিত হয়, তার জন্য কাজ করে যাওয়া। এর বাইরে আমার বিন্দু মাত্র ভাবার অবকাশ নেই। আমি যদি তাদের ( সদরবাসীর ) মুখে হাসি ফুটাতে পারি, তবেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার মত ক্ষুদ্র একজন রাজনৈতিক কর্মীর স্বার্থকতা।বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত হয়েই ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে আজ এই অবস্থায় এসেছি। একথা অস্বীকার করবো না, মনের মাঝে সুপ্ত বাসনা ছিল; আল্লাহ যদি কখনও জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দেন, তবে মানুষের ভালোবাসা অর্জনে যা কিছু করার সব করে যাব। এর ব্যত্যয় করবো না। মানুষ যেন বলে- ‘আশরাফ’ কিছু করেছে। তার কথা ও কাজে গড়মিল নেই। এর বেশি চাওয়া-পাওয়া নেই। পবিত্র এই রমজান মাসে উপজেলাবাসীর উদ্দেশ্য এটুকু না বললেই নয় – আমি আপনাদের ( সদর ) সন্তান। সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে থেকে এ জীবন বিলিয়ে দিতে চাই। স্মার্ট ও আধুনিক উপজেলা বিনির্মানে আপনাদের ভোটে আরও একবার সুযোগ চান বলে জানান তিনি। দেশের মানুষ যেন বলে ময়মনসিংহ সদর, প্রকৃত অর্থেই স্মার্ট ও আধুনিক উপজেলা।
শনিবার (৩০ মার্চ ২০২৪) প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফ হোসাইন এসব কথা বলেন।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, আর ইসলামের সংবিধান হলো মহাপবিত্র আল কুরআন। এটি কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথপ্রদর্শক। মুসলিমদের জন্য রয়েছে আরেকটি বিধান সেটি হলো মহানবী (স.) এর হাদীস। এই দুটিকে আঁকড়ে ধরতে পারলে পথভ্রষ্ট হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। বরং কুরআন ও হাদীসের আলোকে জীবন পরিচালনা করতে পারলে পরকালে পুরস্কার হিসেবে রয়েছে চির শান্তির জান্নাত।
আশরাফ হোসাইন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের মত ক্ষুদ্র কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছি। নেত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নৈতিক, মানবিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষের বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সততা ও মেধা দিয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার সততা, মেধা, মনন, প্রজ্ঞা, এবং রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দিয়ে এমন এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন যে, শুধু বাংলাদেশ নয়-আন্তর্জাতিক মহলও আজ নেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের মতো ক্ষুদ্রকর্মী দলে যারা আছেন, অর্থাৎ যার যার অবস্থান থেকে সততার সঙ্গে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, বাংলাদেশ একদিন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধিশালী দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সেই স্বপ্ন পূরণ ও ‘রূপকল্প ২০২১’-এর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ‘রূপকল্প ২০৪১’ গ্রহণ করা হয়। ২০ বছর মেয়াদি সুদূরপ্রসারী এই স্বপ্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত এবং জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত বাংলাদেশ সরকারের একটি জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনায় বাংলাদেশের লক্ষ্য শিল্পায়নের মাধ্যমে উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বৃদ্ধি, মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের প্রসারকে উৎসাহ দেওয়া রূপকল্প ২০৪১-এর মূল উদ্দেশ্য। নেত্রীর উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার সারথি হতে সম্মানিত ভোটারদের কাছে আরও একবার ভোট চান তিনি।

Leave a Reply