অবশেষে সংস্কার করা হলো বরইতলা-মোজামনগর খেয়াঘাট

ইমদাদুল হক, পাইকগাছা(খুলনা)
অবশেষে সংস্কার করা হয়েছে বরইতলা-মোজামনগর আন্তঃজেলা খেয়াঘাট। গণমাধ্যমে খেয়া পারাপারের দুর্ভোগের সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর ঘাটের বরইতলার অংশ বাঁশ এবং কাঠের খুঁটি দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে দূর্ভোগ কমে গেলো খেয়া পারাপারে। সংস্কার করায় স্থানীয় সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী ও সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, জেলার পাইকগাছা উপজেলা ও দাকোপ উপজেলা সংলগ্ন বরইতলা-মোজামনগর আন্তঃজেলা খেয়াঘাটটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করার ফলে পারাপারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ঘাটের পশ্চিম পাশে রয়েছে পাইকগাছার সোলাদানা সংলগ্ন বরইতলা, আর পূর্ব পাশে রয়েছে দাকোপের মোজামনগর। এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ খুলনা, বাগেরহাট, মোংলা, সুন্দরবন, দাকোপ, পাইকগাছা-কয়রা ও আশাশুনি সহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে থাকে। নদীর পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এবং সংস্কারের অভাবে পারাপারের ঘাটগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে যাতায়াত করতে হতো সর্বসাধারণকে। খেয়া পারাপারে দুর্ভোগের সচিত্র প্রতিবেদন ফেব্রæয়ারি মাসে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেন খেয়াঘাট সংস্কারের। সদ্য বিদায়ী পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন এর সার্বিক সহযোগিতায় সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী বরইতলা ঘাটটি সংস্কার করেছেন। এরফলে এখন থেকে পারাপারে দুর্ভোগ হবে না বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী। তিনি বলেন, ঘাটটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ যাতায়াত করতো। কাঁঠের খুঁটি, বাঁশ এবং নাট-বোল্ট দিয়ে নতুনভাবে সংস্কার করা হয়েছে। এটি অনেক মজবুত হওয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি খুব সহজেই যানবাহনও পার করা যাবে।

ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা খুলনা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *